দুবাই, ১৩ নভেম্বর : জাস্টিন ল্যাঙ্গার আগেই বলে দিয়েছেন, ফাইনালে তাঁদের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে। খুব স্বাভাবিক। পরিসংখ্যান বলছে অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত একবারও
টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। তবে এই ফরম্যাটে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। তাতে কিউয়িরা জিতেছে। সেটা ২০১৬-র ঘটনা। দুবাই ফাইনালের পর ছবিটা কী দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন-জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় (আইনজীবী)
আইসিসি ইভেন্টে শেষবার এই দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ২০১৫-তে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে। তাতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াই জিতেছিল। তবে চলতি বিশ্বকাপের আবহে এই তথ্য খুব গুরুত্ব পাচ্ছে না। যেহেতু, নিউজিল্যান্ড শুধু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারায়নি, তারা খেলেছেও যথেষ্ট ভাল। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফাইনালের আগে জনমতের উল্টোদিকে গিয়ে বলেছেন, দুবাইয়ে টস কোনও বড় ফ্যাক্টর হবে না।
আরও পড়ুন-Sujay Chanda: সুজয় চন্দ (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা ও সংগীতপ্রেমী)
তিনি নিজে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টসে হেরে আগে ব্যাট করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে ব্যাট করেও তাঁরা সেই ম্যাচ জিতেছেন! কিন্তু এতদিন বলা হয়েছে, রাতের শিশির বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। তাই টস জিতলে অর্ধেক ম্যাচ আগেই এসে যায়। তবে কিউয়িদের সম্পর্কে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের পর্যবেক্ষণ হল, বাইশ গজে তাদের মুখোমুখি হওয়া মানে একটা কঠিন ম্যাচের আবহ প্রস্তুত হওয়া। কিউয়িদের ফিল্ডিং অসাধারণ। ভীষণ শৃঙ্খলাবদ্ধ দল তারা। গত কয়েক বছরে বেশ ভাল খেলেছে তারা। সেটা অবশ্য সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও বলে দিচ্ছে।
নিউজিল্যান্ড আবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সান্নিধ্যই বড় পাওনা : ব্রজ
টিম সাউদি ফাইনালের আগে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অনেকটা ইংল্যান্ডের মতো। তাঁর কথায়, ‘‘অস্ট্রেলিয়া অনেকদিন ধরেই শক্তিশালী দল। আমরা ২০১৫-র পর আর কোনও ফাইনালে ওদের সঙ্গে খেলিনি। আমরা ওদের টি-২০ সিরিজে হারিয়েছি। তবে তখন ওদের পুরো শক্তির দল ছিল না। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া সবসময় বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ। ফলে এই ফাইনালে যা খুশি হতে পারে। তবে আমরা ভীত নই। এর আগে বেশ কয়েকটি কোয়ালিটি দলের বিরুদ্ধে খেলেছি আমরা। তবে ইংল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়া দলেও কয়েকজন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান রয়েছে। তবে বোলার হিসাবে আমি এই চ্যালেঞ্জেরই মুখোমুখি হতে চাই।”
আইপিএলে রান না পেলেও ডেভিড ওয়ার্নার বিশ্বমঞ্চে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্বস্তির ব্যাপার। আবার নিউজিল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছে উইকেটকিপার-ব্যাটার ডেভিড কনওয়ের চোট, ডানহাত ভেঙেছে তাঁর। ফলে এই ফাইনাল কেন, তিনি নেই ভারতের বিরুদ্ধে
টি-২০ ও টেস্ট সিরিজেও। কোট গ্যারি স্টিড বলেছেন, কনওয়ের অভাব তাঁদের টের পেতে হবে।