প্রতিবেদন : র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বদ্ধপরিকর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় কুড়ি বছর পর নিয়োজিত হবে ওয়ার্ডেন। যাদবপুরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর এই প্রশংসায় পাল্টা তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সাল পর্যন্ত আবাসিক পড়ুয়াদের দেখাশোনার জন্য যে শিক্ষক দায়িত্বে থাকতেন তাঁকে সুপারিনটেনডেন্ট বলা হত। কিন্তু তারপর সেই পদে অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ করা হত। কিন্তু এবার থেকে কলেজের অধ্যাপকদের এই ওয়ার্ডেন পদে নিয়োগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফ থেকেও একটি কমিটি যাদবপুরে এসে ওয়ার্ডেন পদের সুপারিশ করে। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে যিনি দায়িত্ব নিতে রাজি থাকবেন তাঁকে পদ দেওয়া হবে। এতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বাড়বে। ওয়ার্ডেন-সহ অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি হোস্টেলগুলোতে গিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করবে। পড়ুয়াদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সব বিষয় নজর রাখবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-আর্জেন্টিনাকে হারাল ফ্রান্স
রাজ্য সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছে মূল হোস্টেলকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অস্থায়ী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আর একটিও র্যাগিংয়ের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করেছি। যাঁরা সিনিয়র, তাঁদের নিয়ে বিশেষ ওরিয়েন্টেশন করা হয়েছে। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে এসে দুটি কাউন্সেলিং করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের নিয়ে অফিসার ইনচার্জ বা ওএসডি পদ তৈরি করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, র্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অস্থায়ী উপাচার্য আমাকে বারবার জানিয়েছেন তাঁরা র্যাগিংয়ের প্রতিষেধক হিসেবে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আমি তাঁদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমি বারবার জুনিয়রদের বলব তারা যেন বড়দের ভালবাসে এবং সম্মান করে আর সিনিয়ররাও যেন ছোটদের একইভাবে ভালবাসে।