সিবিআই(CBI) ইস্যুতে দু’মুখো নীতি নিয়ে চলছে কংগ্রেস(Congress)। একদিকে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব বার বার অভিযোগ করেছেন সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে মোদি সরকার(Modi Govt)। অন্যদিকে সেই সিবিআইয়ের দাবিতে রাজ্যে সরব হতে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরীদের। কংগ্রেসের এহেন দ্বিচারিতা নিয়েই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
রাজ্যে সিবিআই তদন্ত যেভাবে বেড়েছে তাতে বাংলায় সিবিআই দফতর খোলার দাবি তুলেছিলেন অধীর চৌধুরী। অধীরের সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের পালটা দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সিবিআই নিয়ে কংগ্রেসের একটা স্পষ্ট নীতি নেওয়া উচিৎ। এই সিবিআই যখন চিদম্বরমকে ধরতে যাবে সোনিয়া গান্ধির জামাইকে নোটিশ দেবে, গান্ধী পরিবারকে টার্গেট করবে তখন তারা লাফাবে প্রতিহিংসা বলে। আর এখানে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ক্ষতি করার জন্য বিজেপির অস্ত্র নিজেদের অস্ত্র বলে মনে করবেন এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। অধীরবাবু বলুন, বাংলায় সিবিআই এলে ডাকঢোল পিটিয়ে স্বাগত জানাবেন, আর চিদম্বরম, সোনিয়ার জামাই বা গান্ধী পরিবারকে টার্গেট করলে চিৎকার করবেন এটা কিভাবে হয়? এই ধরনের রাজ্যভিত্তিক নাটক চলতে পারে না।”
এর পাশাপাশি বগটুইয়ে ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বগটুইয়ের ঘটনায় রাজ্য যথাযথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছিল। রাজ্য সিবিআইকে সাহায্য করবে বলেছিল। যেহেতু ঘটনাটি ভাদু শেখের সাথে সংযুক্ত বিষয় তাই আদালত তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার যথাযথ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা আবার বলছি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র চলছে বগটুইয়ের ঘটনায়।” একিসঙ্গে এদিন সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির প্রসঙ্গ তোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারির নাম এফআইআরে রয়েছে। অথচ তাঁকে কেন গ্রেফতার করছে না সিবিআই। তাহলে নিরপেক্ষতা কোথায়? সিবিআই নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক। ওরা তো রামপুরহাটে যাচ্ছে, তাহলে যেন হারানো নোবেলটাও খুঁজে আনে।