নয়াদিল্লি : বাংলায় দোস্তি আর কেরলে কুস্তি। সিপিএম আর কংগ্রেসের এই নির্লজ্জ দ্বিচারিতা ও সুবিধাবাদ বাংলার মানুষের কাছে যেমন অজানা নয়, তেমনই তা নিয়ে বিড়ম্বনায় কেরলের দুই দলের নেতা-কর্মীরাও। এরাজ্যে শূন্য পাওয়া সিপিএম-কংগ্রেস যখন তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে গলাগলি করছে তখন কেরলের ছবিটা পুরো উল্টো। আর এবার একধাপ এগিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হল কংগ্রেসের শীর্ষস্তর থেকে।
আরও পড়ুন-সেকেন্দ্রাবাদে পুড়ে ছাই গাড়ির শোরুম, মৃত ৮
সিপিএমকে বিজেপির এ-টিম বলে দাগিয়ে দিলেন সোনিয়া গান্ধীর দলের নেতারাই। বিড়ম্বনায় পড়ে কেরল সিপিএমের নেতারা যখন কংগ্রেসকে গালিগালাজ দিচ্ছেন তখন বাংলার নেতারা মহা বিড়ম্বনায় পড়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। এই দুই বিরোধী দলের নিজেদের মধ্যে এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে যে কংগ্রেস বা সিপিএম আদৌ আন্তরিক নয়, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন-ফের এজি হচ্ছেন রোহতগি
কেরলে বিজেপির এ-টিম হয়ে কাজ করছে সিপিএম, বিস্ফোরক দাবি কংগ্রেসের। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল বিরোধিতার স্বার্থে কংগ্রেস ও সিপিএম মতাদর্শগত বিরোধ ভুলে হাত ধরাধরি করে সহাবস্থান বজায় রাখছে। বহু ক্ষেত্রে এরাজ্যে বিজেপির সঙ্গে তাঁদের আওয়াজ মিলে যাচ্ছে। কিন্তু চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে দক্ষিণের বাম শাসিত রাজ্য কেরলে । কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরু হতেই কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব সিপিএম। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমকে বিজেপির দোসর বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের। সম্প্রতি সিপিএমের তরফে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে, এটি ভারত জোড়ো না আসন জোড়ো অভিযান?
আরও পড়ুন-যুদ্ধে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে
কংগ্রেসের তরফেও সিপিএমকে পাল্টা আক্রমণ করে বলা হয়েছে, কেরলে বিজেপির ‘এ-টিম’ হিসেবে কাজ করে সিপিএম। এমনকী, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তুলনা করেছেন কংগ্রেসের অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশ। পিনারাই বিজয়নকে তিনি ‘মুন্ডু-মোদি’ অর্থাৎ কেরলের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘মুন্ডু পরিহিত মোদি’ বলেও কটাক্ষ করেন। সব মিলিয়ে, কেরলে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সূত্রে বিজেপি বিরোধিতাকে গৌণ করে দিয়ে নিজেদের মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন খেয়োখেয়িতে ব্যস্ত কংগ্রেস ও সিপিএম।