সংবাদদাতা, কাটোয়া : আজ, শুক্রবার সাঁইবাড়ি (Sainbari) দিবস। আর তাতে কংগ্রেেসর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, খুনি সিপিএম এখন কংগ্রেসেরই বন্ধু। বিনা প্ররোচনায় নৃশংস গণহত্যার নজির বর্ধমান শহরের সাঁইবাড়িতে। ১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ বর্ধমানের কংগ্রেসি সাঁইবাড়িতে (Sainbari) হামলা চালায় সিপিএমের (CPM) হার্মাদরা। বৃদ্ধা মায়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়াই নয়, তাঁর সামনেই খুন করে দুই ছেলে মলয় ও প্রণব সাঁইকে। খুন করার পর ছেলেদের রক্তমাখা ভাত জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাকে। খুন করা হয়েছিল ওই পরিবারেরই সদস্য নবকুমার সাঁই ও জিতেন রায়কেও। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কয়েকজন সিপিএম নেতার। এ নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গড়া হলেও, কেউই শাস্তি পায়নি। সেই সময় সেই ঘটনার নিন্দায় মুখর হন ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে গোটা দেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের নেতা-কর্মীদের এই দিনটি স্মরণ ও শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, প্রতি বছর ১৭ মার্চ বর্ধমান গিয়ে সাঁইবাড়ি গণহত্যার শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। শহিদবেদিতে মালা দিই। বলেন, সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর নৃশংসতার নজির সাঁইবাড়ি গণহত্যা। গোটা দেশে এতবড় নৃশংস রাজনৈতিক গণহত্যার নজির খুব কম আছে। বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিবারের মতো এবারও শুক্রবার সাঁইবাড়ি গণহত্যার শহিদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়েছে। এবার কংগ্রেস ও সিপিএম হাত মিলিয়েছে।। তাই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, সাঁইবাড়ি দিবসে অধীর চৌধুরীরা সিপিএমের নিন্দা করবেন তো?
আরও পড়ুন: রক্ত-মাখানো ভাতের স্মৃতি, সিপিএমের রাজনীতি