প্রতিবেদন: রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ওড়িশার রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিপত্তি হয়েই চলেছে! ইতিমধ্যেই একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। কখনও রথের দড়িতে প্রথম টান দেওয়ার পর শোভাযাত্রা শুরুর সময় মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কখনও আবার রথ থেকে নামানোর সময় আচমকাই পড়ে গিয়েছে বলরামের মূর্তি। সেই ঘটনায় ন’জন সেবায়েত আহত হন। এর মধ্যে আবার উল্টোরথের আগে শুক্রবার গুণ্ডিচা মন্দিরে লাখ লাখ টাকার মহাপ্রসাদ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। সুয়ারা মহাসুয়ারা নিয়োগের সচিব নারায়ণ মহাসুয়ারার অভিযোগ, ৩০ হাজার ভক্তের জন্য ওই মহাপ্রসাদ রান্না করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া ১১, এনডিএ ২, তিন রাজ্যে সাফ বিজেপি
গুণ্ডিচা মন্দিরে পুজোর আচারবিধি শুরু হতে দেরি হওয়ায় প্রায় আট লাখ টাকার মহাপ্রসাদ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় ভোগমণ্ডপ আচার পালন হয়। মহাপ্রসাদ সময়মতো প্রস্তুত না হওয়ার গুণ্ডিচা মন্দিরের প্রসাদ পাননি ভক্তরা। সময়মতো প্রসাদ না মেলায় ভক্তরাও ক্ষুব্ধ। বিপুল পরিমাণ এই ক্ষতির জন্য জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন গুণ্ডিচা মন্দির কর্তৃপক্ষ। যদিও অন্য এক সেবায়েত অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভবানী দাস মহাপাত্র নামে এক সেবায়েতের কথায়, ভক্ত সমাগম বেড়েই যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ভক্তদের দর্শনের ব্যবস্থা করে দেওয়াই ছিল প্রাধান্য। সেই কারণে গুণ্ডিচা মন্দিরে আচাররীতি পালনে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গোপালবল্লভ রীতি পালন হয়। এই আচারবিধি পালন দু’-এক ঘণ্টা আগে হয়ে যাওয়ার কথা। তবে এখানেও কিছুটা সময় নষ্ট হয়। আচার-রীতি পালনে দেরি হওয়ার কারণ, সেবায়েতদের থেকে সেভাবে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তবে আচাররীতি পালনে দেরি হলেও মহাপ্রসাদ নষ্ট হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। দাবি আর পাল্টা দাবি ঘিরে এখন সরগরম উল্টোরথ-পর্বও।