বইমেলা (Bookfair) শেষ হলেও রয়ে গিয়েছে তার আমেজ। কলকাতার গ্যেটে ইনস্টিটিউট বইমেলার জার্মান প্যাভিলিয়নের (German Pavilion) মণ্ডপটি এবার নতুন করে ব্যবহারে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। সেখানকার ডিরেক্টর জানান প্যাভিলিয়নের কাঠামো খোলার পরে সেটা টুকরো টুকরো বুক শেলফ বা বইয়ের তাক হিসাবে ব্যবহার করা যেতেই পারে। কিছুটা কলকাতার ম্যাক্স মুলার ভবনে আপাতত পার্ক ম্যানসন বিল্ডিংয়ে থাকবে। বাকি অংশ কোনও স্কুল বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হবে। পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখেই পুনর্ব্যবহারের সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে মণ্ডপটি তৈরী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-চলতি সপ্তাহে চার দিন বন্ধ মেট্রো
পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখে পুনর্ব্যবহারের সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে মণ্ডপটি তৈরী করা হয়েছিল। বইমেলার জার্মান প্যাভিলিয়নের ধাঁচ কেমন হবে, এই বিষয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষ স্থপতিদের একটি প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে। শুধুমাত্র বৈচিত্র এবং স্থায়িত্ব, এই দুই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে মণ্ডপটি তৈরী করা হয়। বৈচিত্র ও স্থায়িত্বের ধারণা ভারতীয়দের মজ্জাগত। সেই সঙ্গে জার্মানসুলভ ইঞ্জিনিয়ারিং কৃৎকৌশল মিলিয়েই তুলে ধরা হয়েছে এই অভিনব মণ্ডপ। জার্মান প্যাভিলিয়নের ভিতরে ঢুকলে মনে হত এক ধরনের দেওয়ালহীন পরিসর। কাঠ আর স্বচ্ছ পাতের বইয়ের তাকগুলি হালকা স্টিলের কাঠামো ধরে রেখেছে। এই মণ্ডপের মাধ্যমে বইমেলার মাঠে জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতিকে মেলে ধরার সুযোগ অনেকাংশেই বেড়েছে বলে মনে করছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। তবে এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের ফলে বইমেলাকে ঘিরে জার্মানি ও বাংলার সম্পর্কে একটি নতুন মোড় এল সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।