দিল্লির (Delhi) রিং রোডে বিএমডব্লিউ-র ধাক্কায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের উপসচিব নবত্যোজ সিংয়ের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌরও। আজ, সোমবার এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ঘাতক গাড়ির চালক এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। দুর্ঘটনার সময়ে মহিলার সঙ্গে গাড়িতে তাঁর স্বামী পরিক্ষিত মাক্কাদও ছিলেন। ধৃত মহিলার নাম গগনপ্রীত কৌর,বয়স ৩৮। গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন। পাশের আসনে ছিলেন তাঁর স্বামী। গুরুগ্রামে বসবাসকারী এই দম্পতির বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবসা রয়েছে। পুলিশের এফআইআরে পরীক্ষিতের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন-তন্ত্রসাধনায় নরবলি ঘটনায় ফাঁসির সাজা বাতিল করে বেকসুর খালাস হাইকোর্টের
রবিবার সকালে নভজ্যোত এবং তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর বাইকে বাংলা সাহিব গুরুদ্বার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এর মধ্যে তাঁরা কর্ণাটক ভবনে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁরা বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলেন। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে হঠাৎ পিছন থেকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নভজ্যোতের এবং গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর। নভজ্যোত ও সন্দীপের ছেলে নভনুর এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, দুর্ঘটনার সময়ে ওই বিএমডব্লিউ এক্স৫ গাড়িটি এক মহিলা চালাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও একমত। ধাক্কা খেয়েই নভজ্যোতের বাইক একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন-ভোটে হেরে বিদ্বেষের ষড়যন্ত্র, জবাব দেবে বাংলা
গগনপ্রীত এবং তাঁর স্বামী একটি ট্যাক্সিতে করে নভজ্যোত এবং সন্দীপকে জিটি বি নগরের নুলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর স্ত্রী আপাতত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই এইমস বা সফদরজং হাসপাতাল থাকতে ১৭ কিলোমিটার দূরের জিটি বি নগরের হাসপাতালে কেন নিয়ে গেলেন তারা। ঘটনাস্থলের কাছে কোনও হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়ত বাঁচানো সম্ভব হত নভজ্যোতকে। নভনুর জানান বারবার প্রশ্ন করলেও বাবাকে হাসপাতালে কে এনেছে জানাতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরেই তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। বিএমডব্লিউ গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮এ, ২৮১ ১২৫বি এবং ১০৫ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই হাসপাতালের মালিক বিএমডব্লিউ চালকের বাবা। পুলিশ অনুমান করছে প্রমাণ লোপাটের জন্যই পরিচিত হাসপাতালে নভজ্যোৎ সিং এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরে পুলিশ ঘাতক বিএমডব্লিউ গাড়িকে আটক করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও তদন্ত শুরু করেছে।