প্রতিবেদন : বাংলা বছরের শেষ দিনে দেশের সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় গিয়ে যথারীতি নিজের অভব্য আচরণ জারি রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কলুষিত করলেন বিধানসভার গরিমা ও মর্যাদা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে একরকম জোর করেই আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি শোনেননি। এরপরেও রাজভবনে ফিরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।
আরও পড়ুন – রাজ্য সেরা তা না দেখে রাজ্যপালের মিথ্যাচার
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফে তাকে পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হাঁসখালির ঘটনাকে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। রাজ্য পুলিশই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কোর্টের নির্দেশে এখন সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। এরপরেও এই ঘটনা সহ কলকাতা হাইকোর্টের বিষয় নিয়ে অপ্রয়োজনীয় রাজনীতি করছেন। পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল দুর্ভাগ্যজনক কাজ করছেন। তিনি বিজেপির দালালি করছেন। পায়ে পা দিয়ে সৌজন্যের বেড়া ভেঙে ঝগড়া করছেন। বিধানসভার ভিতরে এত কুৎসিতভাবে একজন রাজ্যপাল ঝগড়া করতে পারেন তার নজির রাখলেন তিনি। বাংলায় হিংসার ঘটনা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। নববর্ষের সূচনায় তিনি বাংলাকে বদনাম করছেন। এটা কাম্য নয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, যখন বাংলা সারা ভারতে কাজের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পায় তখন তো তিনি অভিনন্দন জানান না৷ ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস এর কঠোর সমালোচনা করেছে। এটা সামাজিক অপরাধ। ব্যক্তিগত অপরাধ। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্য রাজ্যের মতো এখানে নির্যাতিতা সহ তার পরিবারকেও মেরে দেওয়া, এসব এখানে হয় না। তবে এনসিআরবির রিপোর্টেই প্রমাণিত, পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ঘটনা আগের থেকে অনেক কমেছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, বাম আমলে কী হয়েছে সবাই ভুলে গিয়েছে? রাজ্যপাল কোর্ট সংক্রান্ত বিষয়েও তথ্য বিকৃতি করছেন বলেও এদিন তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির বিজেপি, রাজ্য বিজেপি ও রাজভবন মিলে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে৷ তবে এতে লাভ হবে না।