আইনশৃঙ্খলার অবনতির ছবি দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh) বেশ স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই দাবি উড়িয়ে দিলেও এই ঘটনায় আর আড়ালে রইল না সেখানে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের ঘটনা। গাজিয়াবাদের ঘটনায় এলাকা জুড়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু পুলিশের।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে থানার ছাদ ভেঙে প্রাণ হারালেন সাব ইনস্পেক্টর
একটি মামলায় অভিযুক্ত কাদির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে গাজিয়াবাদের নাহাল গ্রামে যায় মসুরি থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশ গ্রামে পৌঁছাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। সেই সময়ই ভিড়ের ভিতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। কনস্টেবল সৌরভ গোয়েলের গুলি লাগে। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-ফের কোটায় নিট পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এছাড়াও পাথরবাজিতে আহত হন আরও ৩ পুলিশকর্মী, দাবি পুলিশের। ঘটনার পর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্ত শুরুর দাবি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে এই ঘটনায় একদিকে যেমন উত্তরপ্রদেশে হাতে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ঘোরার অভিযোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকাতেও। এর আগেও উত্তরপ্রদেশ থেকে বিভিন্ন পথে বাংলায় অস্ত্র পাচার করে নাশকতামূলক কাজের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছিল বাংলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গাজিয়াবাদের ঘটনায় সেই অভিযোগ স্পষ্ট হল।