প্রতিবেদন : কালীপুজো কেটে গেলেও বেআইনি শব্দবাজির বিরুদ্ধে জোরদার পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে মহানগরীতে। ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় মহানগরীকে শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণ থেকে বাঁচাতে অভিযান চলবে লাগাতার। মাইকে সতর্কবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে বড়বাজার, পোস্তার মতো শহরের বৃহৎ বিজনেস হাবে। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এরজন্য নামানো হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী।
আরও পড়ুন-ভ্রূণহত্যা রুখতে রাজ্যে নয়া পদক্ষেপ
উল্লেখ্য, বিধি ভেঙে বাজি বিক্রি, ফাটানো এবং মজুতের অভিযোগে দেওয়ালির পরে শহরে গ্রেফতারের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবারে বেশ কয়েকটি এলাকাকে চিহ্নিত করে সেইসব জায়গায় ঘনঘন হানা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে মধ্য কলকাতার ওল্ড চিনাবাজার এবং চাঁদনি চক এলাকা। পুলিশের খাতায় এই দুটি এলাকা শহরের ফায়ারক্র্যাকার হাব। দক্ষিণের কিছু এলাকাও পুলিশের কড়া নজরদারির আওতায়। পুলিশের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ, ছদ্মবেশি বাজিবিক্রেতারা। কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ অফিসার বললেন, অন্য ব্যবসার আড়ালে অনেকেই নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করছে বলে খবর এসেছে। আমরা কড়া নজর রাখছি। বিভিন্ন মার্কেট হাবের ব্যবসায়ী সমিতিকে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি। ধরা পড়লে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে দেরি করব না আমরা। পোস্তা, বড়বাজার এবং লাগোয়া বৃহত্তর মার্কেট হাবগুলিতে মাইকে সতর্কবার্তা প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ইরানের মাজারে আইএস-এর হামলায় মৃত ১৬
জোর দেওয়া হচ্ছে জনমত গঠনের উপরে। মৈথিলি ভাষায় দক্ষ মানুষদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে ছটপুজোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি প্রতিরোধে। ইতিমধ্যেই অনেক বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা শব্দবাজিবিহীন ছটপুজো পালনের শপথ নিয়েছেন। পুলিশকে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আবাসনগুলির পক্ষ থেকে। লক্ষণীয়, কালীপুজোর পরের দিনও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১৬০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’দিনে ৯০ কেজি বেআইনি বাজিও উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে বাজি পোড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৮০ জনকে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতারের সংখ্যা ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচশোরও বেশি।