দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা, ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম

Must read

প্রতিবেদন : দুর্যোগ রুখতে বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, রাজ্য জেলা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে এখন থেকেই। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা রাজ্যের জন্যই এই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষার দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেন, ভুটানের বাঁধ থেকে জল ছাড়লে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা-পরিস্থিতির তৈরি হয়। তাই সমস্ত অফিসার-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। ইন্টারনাল ফোনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ বাহিনী ঠিক রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা হল নৌকার মতো। তাই আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিটি করে আমাদের একজন থাকার দরকার। আগের বন্যা-নিয়ন্ত্রণ ও গঙ্গা-ভাঙনে ১৪ বছর টাকা পাইনি। বন্যাত্রাণে অসম টাকা পায়, আমরা পাই না। বেশি কথা বললে তিক্ততা বাড়বে। তিক্ততার কথা বলতে চাই না। বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- চা-বাগানে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত শ্রমিকরা

কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে বন্যা-মোকাবিলায় বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভুটানের বাঁধ থেকে জল ছাড়লে বাংলা ডোবে। বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্র টাকা দেয় না। উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি চলছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের দুর্যোগের বার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন আরও সজাগ রয়েছে। দুর্যোগ রুখতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের টিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যার আগে কাজ শেষ করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনের প্রশাসনিক সভাতেই আত্রেয়ীর বাঁধ নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাঁধ ভাঙার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেন বাঁধ ভাঙল, তা নিয়ে জেলাশাসকের কাছেও জবাব চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রীতিমতো তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ১৪ বছরে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি। ১০০০ কিলোমিটারের কাজ চলছে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগে ম্যান পাওয়ার লাগিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, পয়সাটা আমাদের কারও ব্যক্তিগত নয়। এটা মানুষের পয়সা। সাধারণ মানুষের পয়সা যেন নষ্ট না হয় এটা আমাদের দেখার দায়িত্ব। মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে জলস্বপ্ন প্রকল্পে পিছিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে জেলাশাসকদের বলব নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যেন কাজ শেষ হয়।

Latest article