প্রতিবেদন: পরিকল্পনা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। প্রয়াগরাজে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে যোগী সরকারের হেনস্থা। সেই রাজ্যে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় এ-রাজ্যের পুণ্যার্থীদের সহায়তা করতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় গিয়ে যেকোনও বিপদে পড়লে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ওই ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬ এবং ১০৭০ নিঃশুল্ক নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন-‘বাংলা বিরোধী বাজেট’ এক্সে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত এ-রাজ্যের দুই বাসিন্দার দেহ রাজ্যে পাঠানোর সময় ডেথ সার্টিফিকেটের বদলে তাঁদের একটি চিরকুট দেওয়া হয়েছে। তাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কারও স্বাক্ষর নেই। শুধুমাত্র মৃতের নাম-ঠিকানা আর যিনি মৃতদেহ নিচ্ছেন, সেই পরিজনের নাম ও স্বাক্ষর থাকছে। এমন চিরকুট-সহ দেহ নিয়ে আসার পর দাহ করার সময় ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় আইনি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। মৃতদের পরিজনকে যে চিরকুট দেওয়া হয়েছে, তার আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষে আর্থিক সাহায্য দেওয়াও সমস্যার।
এই বিষয়ে জানতে পারার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিবকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-নাসার হাত ধরে মহাকাশে পা দেবে শুভাংশু! নয়া ইতিহাস তৈরির পথে ভারত
এখনও রাজ্যের বহু মানুষ মহাকুম্ভে নিখোঁজ। তালিকা লম্বা হচ্ছে। এই নিখোঁজদের অনেকে হয়তো পরে দেখা যাবে, মৃত। নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করে এবং এ-রাজ্যের কত মানুষ মারা গিয়েছেন– সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।