প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগে ফের সিবিআই নিয়ে বিতর্ক। উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে নাম জড়ানোয় শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ারও সুপারিশ করেছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-দুর্নীতিতে ধৃতর সঙ্গে শাহর ছবি ঘিরে বিতর্ক
মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যেই মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ, কোনও ইস্যু ঠিক হলে ঠিক, ভুল হলে ভুল। কোনও রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রশ্নই ওঠে না। সবিনয়ে বলছি, যদি কোথাও কোনও সিস্টেমে কোনও ভুল দেখে থাকেন বিচারপতি, তা হলে নিশ্চিতভাবেই তিনি তা চিহ্নিত করবেন, তদন্ত নিশ্চিতভাবে হবে। কিন্তু কে মন্ত্রী থাকবেন বা কাকে কেন সরানো হবে, তা ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। যিনি সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর উপরে নির্ভরশীল বিষয়টি। এটা সম্পূর্ণ তাঁর সিদ্ধান্ত। আদালতকে পূর্ণ সম্মান জানিয়েই বলছি, এই ধরনের মন্তব্যের ক্ষেত্রে কোথাও একটা চৌকাঠ বা এক্তিয়ারের জায়গা আছে কি না তা ভেবে দেখা দরকার।
আরও পড়ুন-সেনা আত্মসমর্পণ, সুর নরম জেলেনস্কির
এই প্রসঙ্গে কুণালের যুক্তি, স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র যখন উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের হত্যা করলেন, তখন সুপ্রিম কোর্ট অনেকরকম নির্দেশ দিলেও কখনও কিন্তু বলেননি, আশিস মিশ্রর বাবাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেন এই প্রশ্ন উঠছে?