প্রতিবেদন : গোটা দেশে একদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করে নির্দিষ্ট তিন প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তখন অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে নতুন বিতর্ক শুরু করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সরাসরি কিছু শর্ত আরোপ করে অসমের বাংলাদেশ থেকে আসা বাংলাভাষী মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা করেছেন বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওদের দুইয়ের বেশি সন্তান গ্রহণ ও একাধিক বিবাহ বন্ধ করতে হবে। কারণ এগুলি অসমীয়াদের সংস্কৃতি নয়।
আরও পড়ুন-হেফাজত থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কেজরিওয়ালের, জল-সমস্যা মেটাতে নির্দেশ
পাশাপাশি বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটাই হল ওদের সঙ্গে এই রাজ্যের আদিবাসীদের ফারাক। যদি তারা এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে এবং অসমীয়াদের সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারে তাহলে কোনও এক সময়ে তাঁরা রাজ্যের আদিবাসী হয়ে উঠতে পারে।
২০১৯ সালে সিএএ আইন পাশের পরে অসম সরকার সেই আইন লাগু করেছিল। নাগরিকত্ব দেওয়ার পদ্ধতিতে কয়েক হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাদ পড়েছিল। তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ছড়ায়। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক সিএএ লাগুর ঘোষণার পর তার প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় অসমে। প্রবল চাপে পড়ে রাজ্য সরকার। বাঙলাভাষীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। অসমে নাগরিকত্ব বাদ যাওয়াদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি মুসলমানরা। বর্তমান আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কেন্দ্র। এবার অসমে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য পৃথক শর্ত আরোপ করে নাগরিকত্বের ‘আইন’ তৈরি করল অসম সরকার। যদিও এ-নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।