প্রতিবেদন : প্রায় এক দশক আগে সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করল বিহারের নীতীশ কুমার সরকার। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে বিহারে শুরু হচ্ছে জাতিভিত্তিক জনগণনা। ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনগণনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নীতীশ সরকার। প্রতিটি জনগোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেমন বিভিন্ন ধরনের ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে সাঙ্কেতিক নম্বর ১২৬, রাজপুতদের জন্য ১৬৯, ভূমিহারদের জন্য ১৪২ এবং তৃতীয় লিঙ্গকে ২২ সংখ্যায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুঙ্গের থেকে অস্ত্র ও ছেলে এনে অশান্তি করছে বিজেপি, অভিযোগ সেচমন্ত্রীর
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজ্যে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্যেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে পৃথক জাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বিহার উত্তরপ্রদেশ বরাবরই জাতপাতের রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। নীতীশ কুমার সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও ইতিমধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছে, লিঙ্গের পরিচয়কে জাতিগত পরিচয়ে রূপান্তরিত করার চেষ্টা নিতান্তই অপরাধ। অনেকেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত বলে দাবি করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য তার রায়ে জানিয়েছিল, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আর্থ ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হবে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে শীর্ষ আদালত কখনওই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে পৃথক জাতি হিসেবে উল্লেখ করেনি।