মেলবোর্ন, ৩০ ডিসেম্বর : মিচেল স্টার্ক বনাম যশস্বী জয়সওয়াল চলছেই! সোমবার মেলবোর্নে এপিসোড নাম্বার টু দেখলেন দর্শকরা। প্রথমটা হয়েছিল পারথে প্রথম টেস্টে। কিন্তু শেষবেলায় এই ঘটনাকেও ছাপিয়ে গেল বাঁহাতি ওপেনারের আউট। প্রথমে আউটের আবেদন নাকচ করেছিলেন আম্পায়ার। এরপর রিভিউ নিলে স্নিস্কোমিটারেও যশস্বীর গ্লাভসে বল লাগার ইঙ্গিত মেলেনি। কিন্তু এরপরও টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তাঁকে আউট হতে হয়েছে। ফেরার সময় যশস্বী স্পষ্টত নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাঁর আউট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও।
এর আগে কী হয়েছে পঞ্চম দিন? ভারতের ইনিংসের ৩৩তম ওভারের ঘটনা। যশস্বী তখন ঋষভ পন্থকে পাশে নিয়ে ম্যাচ রক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন। স্টার্ক বল করছিলেন। তিনি বোলিং মার্ক-এ ফেরার সময় হঠাৎ নন স্ট্রাইকার এন্ডের উইকেটের বেল তুলে আবার বসিয়ে দেন। স্টার্ক যখন ফিরছেন, তখন যশস্বীকে দেখা গেল এগিয়ে এসে বেল তুলে নতুন করে উইকেটের উপর বসিয়ে দিচ্ছেন। যা সেই মুহূর্তে মাঠে বেশ খানিকটা হাস্যরসের আমদানি করেছিল।
আরও পড়ুন-কিছুই যেন ঠিক হচ্ছে না, হতাশ রোহিত, অবসর জল্পনার মধ্যেই হিটম্যানকে খোঁচা অস্ট্রেলীয় মিডিয়ার
কিন্তু বিষয়টির সেখানেই শেষ নয়। অজিরা মাঠে স্লেজিংয়ের কোনও সুযোগ ছাড়তে চায় না। ফলে স্টার্ক অতঃপর যশস্বীকে খোঁচা দেন, সুপারস্টিসাস, মেট? তুমি কি কুসংস্কারাচ্ছন্ন? যশস্বী অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা দেন, আমার নিজের উপর বিশ্বাস আছে। তাই আমি এখানে। আমি শুধু জীবনের এই সময়টা উপভোগ করছি। প্রসঙ্গত, সিরিজের শুরুতেই যশস্বী স্টার্ককে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, তুমি স্লো হয়ে গিয়েছ! স্টার্ক পরে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি কথাটা শুনতে পাননি।
এদিকে, যশস্বীর আউট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্যাট কামিন্সের বল পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। বল অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে জমা হতেই আউটের আবেদন করেন অস্ট্রেলীয়রা। যদিও ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। এরপর রিভিউ নেন কামিন্সরা। স্নিকোতে কোনও স্পাইক ধরা না পড়লেও, তৃতীয় আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা সৈকত ভিডিও দেখে জানান, বল যশস্বীর গ্লাভসে লেগেছে। ফলে তিনি আউট।
এই প্রসঙ্গে সুনীল গাভাসকরের বক্তব্য, ‘‘প্রযুক্তি যখন রয়েছে, তখন কেন তার উপরেই ভরসা রাখা হবে না! স্নিকোতে তো কোনও স্পাইক ধরা পড়েনি। তাহলে কীভাবে থার্ড আম্পায়ার আউট দিলেন?’’ যদিও সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত শর্মা বলেন, ‘‘স্নিকোতে ধরা না পড়লেও, আমার মনে হয় বল লেগেছিল।’’ আরেক প্রাক্তন রবি শাস্ত্রীও মনে করেন, থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক।