জাতীয় পুরস্কার ঘিরে বিতর্ক

ঘোষিত হয়েছে ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রয়েছে চমক। প্রথমবার এই খেতাব পেলেন দুই তারকা। উঠে এসেছে কয়েকটি নতুন নাম। জুরির কিছু সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে জোরালো বিতর্ক। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

অবশেষে বাদশা
দেশের অন্যতম সেরা সুপারস্টার শাহরুখ খান। ৩৩ বছরের ফিল্মি কেরিয়ার। দীর্ঘদিন ছিলেন এক নম্বরে। বহু হিট, সুপারহিট, ব্লকবাস্টার দিয়েছেন। ভারতে তো বটেই, পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অগণিত অনুরাগী। বাংলার সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। এখানেও তাঁর ভক্তের সংখ্যা সমুদ্রসমান। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চলচ্চিত্র পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ফিল্মফেয়ার। অধরা ছিল জাতীয় পুরস্কার। তাঁর চোখের সামনে দিয়ে ড্যাং ড্যাং করে সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার জিতে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন অজয় দেবগণ, অক্ষয়কুমার, সইফ আলি খানেরা। তিনি শুধুই দেখে যাচ্ছিলেন। একটা সময়ের পর মনে হচ্ছিল, এই জন্মে বোধহয় আর হল না। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। সেটাকে সত্যি প্রমাণ করে অবশেষে বলিউডের বাদশা জিতলেন সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। স্বভাবতই খুশি অনুরাগীরা। অপ্রাপ্তি কাঁটার মতো বিঁধছিল। এতদিনে মিলল স্বস্তি।

আরও পড়ুন-বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষ ও সঙ্ঘের দ্বেষ সমার্থক

গন্ধটা সন্দেহজনক
যদিও এই নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে কিঞ্চিৎ বিতর্ক। ঘটনা হল, ২০২৫-এ শাহরুখ খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য। বক্স অফিসে ঝড় তুললেও, অ্যাটলি পরিচালিত মশালা ছবিটি যে বিশাল উঁচু মানের, তা কিন্তু একেবারেই নয়। এখানে শাহরুখের অভিনয়ও আহামরি বলা যায় না। ক্লাস নয়, তাঁর টার্গেট অডিয়েন্স ছিল মাস। সেদিক থেকে তিনি লক্ষ্য পূরণে সফল। তবে এই মাপের অভিনয়ের জোরে যে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া যায়, সেটা অনেকেই কল্পনা করতে পারছেন না। বরং কেউ কেউ এই পুরস্কার ‘পাইয়ে দেওয়া’র গন্ধ পাচ্ছেন। যেন শাহরুখকে পুরস্কৃত করার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা। দিতে পেরে নিজেরাই যেন গৌরবান্বিত, কৃতার্থ। মনে হয় পরিকল্পনা করেই কষা হয়েছে ছক। দুই পক্ষের মধ্যে সম্ভবত সেতু রচনা করেছেন ‘লগান’ পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়েকর, যিনি জাতীয় পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যান এবং শাহরুখের কাঁচা বয়সের বন্ধু। তাঁর পরিচালিত ‘স্বদেশ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাহরুখ। ফলে গন্ধটা যে সত্যিই সন্দেহজনক, সেটা নিয়ে কোনও কথা চলতে পারে না। অনেকেই বলছেন, বন্ধুকৃত্য করলেন আশুতোষ। একটি ভুলভাল ছবির হাত ধরে।


জাস্টিস করা হত
তবে শাহরুখ যে অভিনেতা হিসেবে অযোগ্য, সেটা তাঁর মস্তবড় শত্রুরও বলার সাহস নেই। যাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের মতে, ‘কভি হাঁ কভি না’, ‘স্বদেশ’, ‘দিল সে’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘চক দে ইন্ডিয়া’র মতো ছবির জন্য শাহরুখ জাতীয় পুরস্কার পেলে, যথাযথ জাস্টিস করা হত। দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেটা হয়নি। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এবং জুরি বোর্ড তাঁকে পুরস্কার পাইয়ে দিতে একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিলেন। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে উঠেছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুরস্কারের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসালেও, শাহরুখ-ভক্তরা যে এটা বুঝছেন না, তা কিন্তু নয়। ভিডিও বার্তায় বিবৃতি দিলেও, শাহরুখ নিজেই কি খুব তৃপ্ত? এমন একটি সিদ্ধান্তে তাঁকে কি সত্যিই উপযুক্ত সম্মান জানানো হল? জেগেছে প্রশ্ন। ‘জওয়ান’ ছবির ‘ছালেয়া’ গানের জন্য সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পা রাও। সেরা গায়ক পিভিএন এস রোহিত। ‘বেবি’ ছবির ‘প্রেমিসথুন্না’ গানের জন্য।

আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে জেলা, রাখি-উৎসবে বাংলা

পর্দায় বাস্তব-কাহিনি
সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’। অনুরাগ পাঠকের উপন্যাস আধারিত এই ছবি। আইপিএস অফিসার মনোজকুমার শর্মার জীবন-কাহানিকেই চিত্রনাট্যের আকার দিয়েছেন পরিচালক। বাস্তবের কাহিনিকেই সিনেমার পর্দায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা প্রতিটি দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ছোট শহর চম্বলের ছেলে মনোজ দ্বাদশ শ্রেণিতে ফেল করেন। এরপর তিনি সাহসিকতার সঙ্গে কেরিয়ারকে আরও একটি সুযোগ দেন এবং সাফল্য পান। মনোজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। এই ছবির জন্য তিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। অর্থাৎ দুটি জাতীয় পুরস্কার এসেছে এই ছবির ঝুলিতে।
সমস্ত মায়ের উদ্দেশে
প্রথমবার সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেলেন রানি মুখোপাধ্যায়। আসীমা চিব্বার পরিচালিত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য। রানি বলেছেন, এই পুরস্কার আমার কাছে একটা বড় পাওয়া। এইরকম একটা ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। যাঁরা এই ছবিতে কাজ করেছেন, মাতৃত্বকে উদযাপন করেছেন, এই পুরস্কার তাঁদের সবার। আমার ৩০ বছরের কষ্ট, শ্রম, অভিনয় সমস্ত কিছুকে যেন পূর্ণতা দিল এই পুরস্কার। বিশ্বের সমস্ত মায়ের উদ্দেশে পুরস্কারটা উৎসর্গ করতে চাই। মায়ের ভালবাসার থেকে বড় এবং মায়ের সন্তানদের আগলে রাখার মতো ভালবাসা আর কিছুতেই নেই। এই গল্প এমন একজন মায়ের, যাঁকে দেশের বাইরে তাঁর সন্তানদের নিয়ে থাকতে হয়। চিত্রনাট্যটা আমায় নাড়া দিয়েছিল।
নিখোঁজ দুটি কাঁঠাল
‘কাঁঠাল : আ জ্যাকফ্রুট মিস্ট্রি’ সেরা হিন্দি পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবির পুরস্কার জিতেছে। ছবিতে ইন্সপেক্টর মহিমা বাসোরের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন সানিয়া মালহোত্রা। জাতীয় পুরস্কার জয়ের পর তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ছবিটি শুরু হয়েছে একটি ছোট শহরে এমএলএর বাগান থেকে দুটি কাঁঠাল নিখোঁজ হওয়ার এক অদ্ভুত ঘটনা দিয়ে। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণ বৈষম্য, পুলিশের গাফিলতি এবং মানব পাচারের মতো বিষয়গুলো উঠে আসে। সানিয়ার অভিনয় দর্শক এবং সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এছাড়াও অভিনয় করেছেন অনন্ত ভি জোশি, বিজয় রাজ, রাজপাল যাদব, নেহা সরফ, ব্রিজেন্দ্র কালা প্রমুখ। প্রযোজনা করেছেন একতা কাপুর, গুণীত মঙ্গা, অচিন জৈন এবং শোভা কাপুর।

আরও পড়ুন-রাখিবন্ধন, স্বরূপের উদ্যোগে ভিন্ন ছবি টলিপাড়ায়

তিনটি বিভাগে সেরা
জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় তিন-তিনটি বিভাগে সেরার শিরোপা পেয়েছে ভিকি কৌশলের ছবি ‘সাম বাহাদুর’ এবং সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই দুই ছবি দর্শকের মন জিতে নিয়েছে। প্রশংসা পেয়েছে সমালোচকদের। সম্মানপ্রাপ্তি পর পর্দার ‘সাম বাহাদুর’ ভিকি কৌশল অভিনন্দন জানিয়েছেন ছবির গোটা টিমকে। সেরা সমাজ সচেতনতামূলক সিনেমা, সেরা মেকআপ ও সেরা পোশাকশিল্পীর পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘সাম বাহাদুর’। অন্যদিকে ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অনিল কাপুরকে। সম্মানপ্রাপ্তির পর আপ্লুত তিনিও। ছবির গোটা টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সেরা সাউন্ড ডিজাইন, সেরা আবহ সঙ্গীতের পাশাপাশি স্পেশাল মেনশনেও পুরস্কৃত হয়েছে ‘অ্যানিমাল’।

নিজের সঙ্গে লড়াই
সেরা বাংলা ছবির শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে ‘ডিপ ফ্রিজ’। পরিচালক অর্জুন দত্ত। ছবিতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, আর্য দাশগুপ্ত, অনুরাধা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। এক অন্য স্বাদের সম্পর্কের গল্প। পাঁচ বছর ধরে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে থাকা স্বর্ণা এবং মিলি, রাতভর এক অজানা ভাবনায় ডুব দেন। আবেগ ইমোশনকে ‘আইস কিউব’, ‘মেল্টিং পয়েন্ট’ এবং ‘ডিফ্রস্টে’ বিভক্ত করা হয়েছে। এই গল্প তাঁদের লুকিয়ে থাকা যন্ত্রণার কথা বলে। চাপা অনুভূতি এবং প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা বলে। গল্প লিখেছেন, আত্মদীপ ভট্টাচার্য, অর্জুন দত্ত, আশীর্বাদ মৈত্র।
জনপ্রিয় ছবির খেতাব
জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় সেরা জনপ্রিয় ছবির খেতাব জিতে নিয়েছে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিকে সিনেসমালোচকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বক্স অফিসেও ঝড় তুলেছিল করণ জোহরের ছবিটি। এবার সেই সিনেমার ঝুলিতেই এল জোড়া জাতীয় পুরস্কার। ‘ঢিন্ডোরা বাজে রে’র জন্য পেয়েছে সেরা কোরিওগ্রাফির পুরস্কারও। যার জেরে আপাতত শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন পর্দার ‘রকি-রানি’ রণবীর সিং এবং আলিয়া ভাট। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দর্শকদের ধন্যবাদ জানালেন পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহর। তিনি বলছেন, এটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের ছবি। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং অভিভূত। জুরি সদস্যদের ধন্যবাদ এবং ছবিটি এখনও যে বিপুল পরিমাণ ভালবাসা পাচ্ছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।

আরও পড়ুন-বিজেপির বিশৃঙ্খলার মধ্যেও সংসদীয় সক্রিয়তা তৃণমূলের, ৫ বছরে বিজ্ঞাপনে খরচ কত? প্রশ্ন ডেরেকের

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
সেরা পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ্ত সেন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র জন্য। সিদ্ধান্তটি নিয়েও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি প্রথম থেকেই ধর্মান্তরণ এবং জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পরিচালকের খেতাব জেতার পরেই ফের বিতর্ক উসকে দিল। নতুন বিতর্কে দাবি করা হয়েছে, কেরলে হাজার হাজার মহিলা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্র শালিনী উন্নিকৃষ্ণন, যিনি পরে ফতিমা নামে পরিচিত হন, সেই কাহিনিকেই কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছবিটি। টিজারে দাবি করা হয়েছিল, কেরলের ৩২ হাজার নারী এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, যা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। পরে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংখ্যাটি প্রতীকী এবং ছবির গল্প আংশিকভাবে কাল্পনিক। ছবিটি লিখেছেন সূর্যপাল সিং, সুদীপ্ত সেন ও বিপুল অমৃতলাল শাহ। প্রযোজনা করেছে সানশাইন পিকচার্স। সৃজন পরিচালক ছিলেন বিপুল অমৃতলাল শাহ। সম্পাদনায় সঞ্জয় শর্মা এবং সংগীতে ছিলেন বীরেশ শ্রীবলস ও বিষাখ জ্যোতি। এই ছবির জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি মেনে নিতে নারাজ অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, এই পুরস্কার পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সম্প্রীতির উপর সরাসরি আঘাত। এইরকম একটি বিদ্বেষমূলক ছবিকে পুরস্কৃত করে দেশের ঐক্য ও সহাবস্থানের ভাবনাকে হেয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, এই ছবি পেয়েছে সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কারও। জাতীয় পুরস্কারের জুরি প্রধান আশুতোষ গোয়াড়েকর বলেছেন, বিষয়টি কঠিন হলেও ছবিটি তা সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে, সেই জন্যেই এর স্বীকৃতি প্রাপ্য। অপরদিকে, অভিনেত্রী আদা শর্মা বলেন, এই পুরস্কার আমাদের সকলের পরিশ্রম আর আবেগের ফল।

Latest article