প্রতিবেদন : তৃণমূল শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এই সভা থেকে পাওয়া দলনেত্রীর বার্তা বাকি কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেবেন আপনারা। উত্তর থেকে দক্ষিণ দলের যে নেতৃত্ব উপস্থিত হতে পেরেছেন নেতাজি ইন্ডোরে তাঁরাই জেলাস্তরে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দেবেন, এটাই কাম্য। বৃহস্পতিবারের মেগা বৈঠকের শুরুতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য এই অনুরোধ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি।
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বেচ্ছাচারিতা মানবে না দল, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি সুপ্রিমোর, জোড়াফুল শেষ কথা : নেত্রী
এরপরই তিনি নেত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘ লড়াই ও আন্দোলনের ইতিহাস আরও একবার মনে করিয়ে দেন। বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেই সময় বাংলার মানুষ ভোটবাক্সে নিজের মতপ্রকাশ করতে পারত না। পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বামেদের সন্ত্রাস ও দৌরাত্ম্যে এ-রাজ্যে ভোটই হত না। সেই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয় সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র প্রবর্তনের আন্দোলন। যা দেশের মধ্যে উদাহরণ। নেত্রীর সেই আপসহীন আন্দোলনের জেরেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। শুধু বাংলা নয়, সর্বভারতীয় স্তরে শুরু হয় এই পরিচয়পত্রের ব্যবহার। আজও দেশের মানুষ যখন ভোট দেন তাঁরা এই কারণে কৃতজ্ঞতা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি আরও বলেন, প্রমাণ করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা উপেক্ষা করে যে রাজনৈতিক দল বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে, ২০২৬-এ ফের বাংলার মসনদে সেই দলকেই ফেরানোর আহ্বান জানান তিনি।