নয়াদিল্লি : রেলের পাথর চুরি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে পালিয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী রাকেশ সাচান। উল্লেখ্য, ৩৫ বছরের পুরনো এক পাথর চুরির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ভোগনিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাকেশকে। শনিবার কানপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-এর তৃতীয় আদালতের বিচারপতি অলোক যাদব তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় সংরক্ষণ করেন। তবে রায়দানের আগেই আদালত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রাকেশ সাচান। আদালত থেকে পিঠটান দেওয়ার পর এদিন বারবার চেষ্টা করেও মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এমন গুরুতর অভিযোগে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও যোগী কীভাবে রাকেশকে মন্ত্রিসভায় নিলেন? কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-চকোলেট চেখে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা রোজগার!
কিদওয়াই নগরের বাসিন্দা রাকেশ ২০০৯ সালে ফতেপুর থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। ১৯৯৩ এবং ২০০২ সালে তিনি ঘাটমপুর আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। এরপর তিনি সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেস তাঁকে দলের জাতীয় সম্পাদক করে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন রাকেশ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে কানপুর দেহাতের ভোগনিপুর আসনে টিকিট দেয়। ওই কেন্দ্রে জিতে রাকেশ এখন উত্তরপ্রদেশ সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দফতরের একজন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-দিন-গাজন রাত-গাজন
একসময় রেলের ঠিকাদার ছিলেন রাকেশ সাচান। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৯ ধারা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের ৪১১ ধারার অধীনে পাথর বা ব্যাসাল্ট চুরির একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল চুরি যাওয়া বিপুল পরিমাণ পাথর। মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাতে তাঁর ১০ বছর পর্যন্ত জেল সঙ্গে জরিমানা হতে পারে।