প্রতিবেদন : আশঙ্কা ছিলই। বাংলাদেশ হাইকোর্টের রায়ে রবিবার সত্য হল সেই আশঙ্কাই। আরও চাঙ্গা হয়ে উঠল বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি। ২০ বছর আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামি লিগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানোর অভিযোগে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন বিএনপির শীর্ষনেত্রী বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, সেই সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ এনায়েত হোসেন-সহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত মোট ১৯ জন।
আরও পড়ুন-কাল ৬ প্রার্থীর শপথ, ক্যাবিনেট মুখ্যমন্ত্রীর
শুধু তাই নয়, ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও ১৯ জনকেও বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই নির্দেশ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১১ পুলিশ ও সেনাকর্তার ক্ষেত্রেও। ২০০৪-এর ২১ অগাস্ট লিগের সভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল গোটা বিশ্ব। ঝড় উঠেছিল নিন্দার। সেই মামলাতেই রবিবার সমস্ত সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ। নিম্ন আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আবেদনকারী এবং আবেদনকারী নয়, এমন সকলকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাইকোর্টের বেঞ্চ।
২০০৪ সালে তখন বাংলাদেশ ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছর ২১ অগাস্ট বিরোধীনেত্রী আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ২৪ জনকে। স্থানীয়দের অবশ্য দাবি ছিল, মৃতের সংখ্যা অন্তত ৩০। জখম হন প্রায় ৩০০ জন। কেন খালাস করে দেওয়া হল তারেক রহমান-সহ এতজন শাস্তিপ্রাপ্তকে? হাইকোর্টের বিচারপতিদের যুক্তি, ত্রুটি ছিল অভিযোগ গঠনে।
আরও পড়ুন-‘অপরাজিতা বিল’কে আইনে পরিণত করতে ব্লকে ব্লকে ধরনা
জানা গিয়েছে, ২০০৪-এর ২১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামি লিগের অফিসের সামনেই একটি লরির উপরে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ভাষণ দিচ্ছিলেন হাসিনা। ওইসময়ই গ্রেনেড ছোঁড়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। দ্রুত নীচে নেমে পড়ে তিনি কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলেও প্রাণ হারান তাঁর প্রায় ২৪-৩০ অনুগামী।