প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিক ভাবে রুখে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সব নীতি-নৈতিকতা আর আদর্শকে গুলি মেরে আবার রাম-বাম জোট। এবার আরও প্রকাশ্যে। নন্দকুমারের পর মহিষাদল। উপলক্ষ্য সমবায় নির্বাচন। আগামী ২০ নভেম্বর মহিষাদলের কেশবপুর (Keshabpur Cooperative Vote) জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায়ের ভোট। তৃণমূলের দখলে থাকা এই সমবায়ে ৭৫টি আসন। তৃণমূল স্বাভাবিকভাবে সবক’টিতে (Keshabpur Cooperative Vote) প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি আর বাম গলায়-গলায় ভাব দেখিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে। সংযুক্ত কৃষকমোর্চার ব্যানারে ৬২ আসনে বিজেপি এবং বাকি ১৩ আসনে বামেরা প্রার্থী দিয়েছে। যদিও এই রামধনু জোট একটি আসনে প্রার্থী দিতে না পারায় ইতিমধ্যে তৃণমূল জিতে গিয়েছে। বাকি ৬১ আসনে ফের নন্দকুমারের সমবায় ভোটের ছবি পুনরাবৃত্তি হবে, সাফ কথা তৃণমূলের। রাম-বাম জোটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিআইয়ের আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সুধাংশু বারিক। কেন চিরশত্রু বিজেপির সঙ্গে জোট? ফাটা রেকর্ডের মতো তাঁর সেই দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের অভিযোগ। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, মানুষ দেখতে পাচ্ছে এদের চরিত্র। রাজনৈতিক দুই শত্রু গলা জড়াজড়ি করে চলছে। তৃণমূল ভীত নয়। নন্দকুমারের মতোই এখানেও বিপুল ভোটে পরাস্ত হবে রামধনু জোটের প্রার্থীরা।