শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়। ভোটে দাঁড়ানোর পর এলাকাবাসীকে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জেতার পর সেটা সেই কথা দায়িত্ব সহকারে পালন করতে এবার পথে নামলেন কলকাতা পুরসভার (KMC) ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Ward 28) তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী (Ayan Chakraborty)। অয়নের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল, ক্যানেল ওয়েস্ট রোড (Canal West Road) জবরদখল মুক্ত করা। সেই কাজেই এবার এগিয়ে এলেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-১ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির
শনিবার সকালে ডিসি ইএসডি (DC ESD) প্রিয়ব্রত রায়, ওসি নারকেলডাঙা (OC Narkeldanga) এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী জবরদখল তোলার অভিযানের ইন্সপেকশনে বেরিয়েছিলেন। নারকেলডাঙা থানার সামনে থেকে খাল বরাবর ক্যানেল ওয়েস্ট রোডের প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে এই অভিযান হয়।
গোটা রাস্তাজুড়ে সেভাবে কোনও বসতি ঝুপড়ি নেই। তবে বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা। যার মধ্যে বেশিরভাগই অব্যবহৃত ভাঙা গাড়ি বছরের পর বছর রাস্তা দখল করে পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “কয়েক হাজার ভাঙাচোরা, অব্যবহৃত
গাড়ি যুগ যুগ ধরে রাস্তা দখল করে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ পার্কিংয়ের রমরমা। এই পার্কিংকে কেন্দ্র করে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে এলাকা। পুরসভার ময়লা তোলার গাড়ি এলেও পার্ক করা গাড়ির জন্য পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার আখড়া। স্থানীয় মানুষের তরফে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আছে এই বেআইনি পার্কিং-এর বিরুদ্ধে।”
আরও পড়ুন-উধাও মাস্ক, থুতু দিয়ে লিফলেট বিলি শাহের!
এখানেই শেষ নয়। অয়ন জানাচ্ছেন এই এলাকার স্থানীয় মানুষের থেকে তিনি আরও অভিযোগ পেয়েছেন। এই পার্কিংকে কেন্দ্র করে অনেক অবৈধ কাজ চলে। সকাল-সন্ধ্যা মদ, চুল্লুর ঠেক বসে। অথচ এই ক্যানেল ওয়েস্ট রোডই এপিসি রোডের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। যেখানে খুব সহজেই সুষ্ঠুভাবে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছে যাবেন মানুষ। এবং সেটা তিনি করেই ছাড়বেন। বেআইনি পার্কিং হটানোর জন্য আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহব্যাপী মাইকিং করা হবে পুরসভার পক্ষে। এরপরও কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অয়নের দাবি, বেআইনি পার্কিং সরে গেলে গোটা এলাকা সাজিয়ে তুলবেন। সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এলাকার সৌন্দর্যায়ণ খুব প্রয়োজন। এবং বেআইনি পার্কিং সরানো গেলেই সেটা সম্ভব।
আরও পড়ুন-৬ জাতীয় দলের সম্পত্তির চেয়েও বেশি অর্থ বিজেপির
ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায় জানান, “আজ আমরা রাস্তা পরিদর্শন করলাম। কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুত বেআইনি পার্কিং সমস্যার সমাধান করা হবে। কারা এখানে গাড়ি ফেলে রাখে, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মৌখিকভাবে প্রথমে বলা হবে গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপর কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” একইসঙ্গে ডিসি ইএসডি জানিয়েছেন, এলাকায় যাতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে, কোনও বেআইনি কাজ যাতে না হয়, তার জন্য ২৪ ঘন্টা নারকেলডাঙা থানার পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হয়। এখন থেকে সেই নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।