প্রতিবেদন : বউবাজার মেট্রো-বিপর্যয়ে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি শুরু হল সোমবার। ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে শনিবারের মধ্যে। সমস্ত প্রক্রিয়াটি মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তিনি জানান, দু’রকমের ফর্ম রাখা হয়েছে। একটি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য, অন্যটি ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য। পূরণ করা ফর্ম খতিয়ে দেখে সই করবেন কাউন্সিলর, স্থানীয় থানার আধিকারিক এবং পুরসভার আধিকারিক।
আরও পড়ুন-ফের হলদিয়া রিফাইনারিতে বিধ্বংসী আগুন, জখম তিন
সেই ফর্ম পাঠানো হবে কেএমআরসিএলের দফতরে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ১৫ দিন থেকে একমাসের মধ্যে মিলবে ক্ষতিপূরণের টাকা। বিশ্বরূপবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, আবেদনকারীদের কোথাও ছোটাছুটি করতে হবে না। তাঁর অফিসে দরখাস্ত জমা দিলে বাকি কাজটা করবেন তাঁরাই। পুরো বিষয়টি সমন্বয় করা হবে তাঁর অফিস থেকেই। প্রথমদিনে সোমবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত এই অফিস থেকেই ফর্ম নিয়ে গিয়েছেন ৬০ জন। লক্ষণীয়, শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন-ইতিহাস লোককথা আজও টানে কপালকুণ্ডলা মন্দিরে
ঘোষণা করা হয়, গৃহহীনদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে কেএমআরসিএল। নির্দেশিকায় জানানো হয়, ১০০ বর্গফুট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পিছু দেওয়া হবে দেড় লক্ষ টাকা। ১০০ বর্গফুটের বেশি হলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হবে ৫ লক্ষ টাকা। সিদ্ধান্ত হয়, যে সব ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি বা দোকান আর কোনওভাবেই মেরামতি সম্ভব নয়, সেগুলি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এদিকে কেএমআরসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরে আসছেন দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মেট্রো বিশেষজ্ঞরা।