প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর ঘটনা বিজেপি-নীতীশের বিহারে। হার মানাল মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে। নৃশংসভাবে গ্রামে পিটিয়ে মারা হল এক প্রৌঢ়কে। তারপরে তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল আততায়ীরা। ব্যাপক মারধর করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল তাঁর স্ত্রীকেও। কয়েকজন গ্রামবাসী পুলিশ ডেকে এনে শেষমুহূর্তে প্রাণে বাঁচান ওই মহিলাকে। উদ্ধার করেন প্রৌঢ়র মৃতদেহ। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আক্রান্ত মহিলা। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নওদায়। শুধু তাই নয়, দম্পতির উপরে নির্লজ্জ হামলা চালানোর আগে ওই দম্পতির মাথা মুড়িয়ে গ্রামের পথে ঘোরানো হয়। প্রকাশ্যে জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের গলায়। এমনকী প্রস্রাব পান করতেও তাঁদের বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। কেন এমন হিংস্র আক্রমণ প্রৌঢ় দম্পতির উপর?
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের উপদেষ্টার গুরুতর অভিযোগ
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন পঞ্চুগড় মুসাহরি গ্রামে একটি জন্মদিনের পার্টিতে মিউজিক সিস্টেম একাধিকবার খারাপ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। ওই পরিবারের লোকেদের বদ্ধ ধারণা, এর নেপথ্যে আছে কালাজাদু। ওই প্রৌঢ় দম্পতি এর জন্য দায়ী। সেই সন্দেহের বশেই স্বামী-স্ত্রীর উপরে চড়াও হয় পরিবারের পেটোয়া লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল হিসুয়া থানা এলাকায় পঞ্চুগড় মুসাহরি গ্রামেই মোহন মাঝি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। এই উপলক্ষেই ভাড়া করা হয়েছিল মিউজিক সিস্টেম। কিন্তু বারবার তা অচল হয়ে যাওয়ায় বাড়ির লোকেদের ধারণা হয়, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা গয়া মাঝি (৫৮) ও তাঁর স্ত্রী ‘কালাজাদু’ করে এই বিপত্তি ঘটাচ্ছে। কোনওরকম আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়েই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় প্রৌঢ় দম্পতির উপরে। চলে বর্বর আক্রমণ। এখনও পর্যন্ত পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়। তবে আসল অভিযুক্তরা এখনও বেপাত্তা বলে অভিযোগ।