রবিবার সকালেই তোলপাড় রাজধানী। দিল্লির (Delhi) একটি পার্কে এক কিশোর কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল এলাকা জুড়ে। যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও দ্বন্দ্বে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিল্লির হওজ খাস এলাকার ডিয়ার পার্কে রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পার্কের এক নিরাপত্তারক্ষী এক কিশোর ও কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই দৃশ্য দেখে চমকে যান সকলেই। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তাঁরা পার্কে পৌঁছে দেহ দু’টি উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সম্ভবত তাদের পরিবারের বাধার মুখে পড়ে তারা এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে এই ঘটনায় নেপথ্যে অন্য কিছুও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-ডুয়ার্সে ফের খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ
জানা গিয়েছে পিলাঞ্জি গ্রামের বাসিন্দা এই যুবক লোধি কলোনিতে একটি পিজ্জার দোকানে কাজ করতেন। তার পরিবার পুলিশকে জানায়, শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ছতারপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী গত তিন দিন ধরে হুমায়ুনপুর গ্রামে তার আত্মীয়ের সঙ্গে থাকছিলেন। শনিবার একই সময়ে কোনো কাজে বাড়ি ফেরার জন্য আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিশোরের বয়স আনুমানিক ১৭ বছর। পরনে ছিল কালো টি-শার্ট ও নীল রঙের জিনস এবং কিশোরীটি সবুজ রঙের একটি পোশাক পরেছিলেন।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই তদন্তের অগ্রগতি হবে। আপাতত দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে গাছে তাঁদের দুজনের দেহই ঝুলছে সেটি অনেক উঁচু, তাই দু’জনের পক্ষে সেখানে উঠতে অসুবিধা হওয়ার কথা। এমতাবস্থায় প্রথমে তাদের হত্যা করে পরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ডিয়ার পার্কে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় তদন্ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তবে চেষ্টা চলছে।