প্রতিবেদন : ফের বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের। বিচার শুরুর ৪১ দিনের মাথায় বড়তলা (burtolla rape case) ধর্ষণ-কাণ্ডে অপরাধীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
কলকাতা পুলিশ ইতিহাস গড়ল। কারণ, এই ধরনের মামলায় যেখানে নির্যাতিতা এখনও বেঁচে আছে, সেখানে অতীতে ফাঁসির সাজার কোনও নজির নেই। আদালত এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিচারক জানিয়েছেন, যেভাবে সাত মাসের এক দুধের শিশুর শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সেখানে দোষীর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাই পকসো আইনের ৬ নং ধারায় ফাঁসির সাজা দিয়েছেন নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক। ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলে হয়েছে আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন- কাগজ ছোড়া : জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
২৬ দিনের মাথায় চার্জ জমা দেবার পর ৪০ দিনে বিচার শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্ত যুবককে। মঙ্গলবার দোষী রাজীব ঘোষকে ফাঁসির সাজা শোনাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। নিগৃহীতার পরিবারকে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর বড়তলার (burtolla rape case) পথশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। সাত মাসের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে নেমে ১৯ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ৪ ডিসেম্বর রাজীব ঘোষ ওরফে গোবরাকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থানার আলমপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গেইট পদ্ধতি ব্যবহার করে সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অভিযুক্তের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয় তাকে। কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টে শুরু হয় মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।