পার্ক স্ট্রিট হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

ওড়িশার কটক থেকে তাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা।

Must read

পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) হোটেলে যুবক রাহুল লাল হত্যাকাণ্ডে ধৃত দুই অভিযুক্ত শক্তিকান্ত বেহেরা ও সন্তোষ বেহেরাকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওড়িশার কটক থেকে তাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, রাতে রাহুল লাল মদ্যপ অবস্থায় দুই অতিথিকে ছুরি দেখিয়ে লুঠপাটের চেষ্টা করেন। আত্মরক্ষায় পাল্টা প্রতিরোধ করে শক্তিকান্ত ও সন্তোষ। সেই ধস্তাধস্তির মধ্যেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে রাহুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তারা দেহটি বক্স খাটের ভেতরে লুকিয়ে রেখে ট্রেনে চেপে ওড়িশা পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের স্টুডিওতে ১৭ শিশুর অপহরণকারী নিহত

২২ অক্টোবর পার্ক স্ট্রিটের আল বুর্জ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল-এর একটি ঘরে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। পরের দিন, ২৩ অক্টোবর, ওই রুমের বক্স খাটের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় ২৫ বছর বয়সি রাহুল লালের দেহ। তিনি পিকনিক গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যবসার কাজে ওড়িশার ঢেঙ্কানল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন শক্তিকান্ত ও সন্তোষ। বিকেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে তাদের সঙ্গে গাইড পরিচয়ে আলাপ হয় রাহুলের। থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তিনি তাদের নিয়ে যান পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে।

আরও পড়ুন-বীরভূমে SIR-NRC আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ, স্বজনহারা পরিবারের পাশে তৃণমূল

ওড়িশা থেকে অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে এনে বৃহস্পতিবার কলকাতা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ, কল ডিটেলস এবং ফরেনসিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, রাহুল লাল নিজেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। আত্মরক্ষায় ধস্তাধস্তির মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

Latest article