প্রতিবেদন : আর জি করে অচলাবস্থা কাটাতে অবশেষ হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর জি কর নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত জানিয়েছে, ইন্টার্নদের প্রতিশ্রুতি মতো কাজে যোগ দিতে হবে। কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললেও আদালত পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, পড়ুয়েদের আন্দোলনের অধিকার কোনও ভাবেই খর্ব করতে চায় না আদালত। তবে পড়ুয়াদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে হাসপাতালের পরিষেবা ও শান্তি নষ্ট হয়। সমস্যা মেটাতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের আগামী ২৯ অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেদিন স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা মেটাতে আলোচনা করবে। ছাত্রদের অনশন প্রত্যাহার করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন বিচারপতি। যদিও আদালতের এই নির্দেশের পরই অনশন-আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনড় তাঁরা, জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত আর জি করের পড়ুয়া চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : প্যারিসে তরুণ শিল্পোদ্যোগীর বই প্রকাশ
আগামী ২ নভেম্বর হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিনস্থির হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। শুনানি চলাকালীন আদালত জানতে চায় এখন হাসপাতালে ঠিক পরিস্থিতি চলছে। হাসপাতালের অচলাবস্থা যে এখনও পুরোপুরি কাটেনি, তা জানানো হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে যে কোনও ধরনের আন্দোলন করা যায় না, তা আরও একবার পড়ুয়াদের স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। শুনানি চলাকালীন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় আদালত। কিন্তু সেসময় আদালতে পড়ুয়াদের কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। এই সমস্যা মেটাতে এরই মধ্যে পাঁচজনের একটি মেন্টর গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। শুনানির শুরুতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানান, অচলাবস্থা কাটাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। যদি তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধি না থাকেন তবে তিনি প্রয়োজনে ভার্চুয়ালিও কথা বলতে রাজি আছেন বলেও জানিয়ে দেন। তবে এই ক’দিনে আর জি করের পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। কালো ব্যাজ় পরে কাজ করছেন একদল পড়ুয়া। ক’দিন আগেই কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন ইন্টার্নরাও। এ সব দেখেই মনে করা হচ্ছে, আর জি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটার পথে।