প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও ভাবনায় এবং রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দিঘার জগন্নাথধাম এখন বাংলা তথা দেশের এক অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। জন্মজন্মান্তর তা থেকে যাবে। ইতিহাস তৈরি করেছেন বাংলার মা মাটি মানুষের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জগন্নাথধাম দেখতে পাবেন কলকাতায়। পুজোর মণ্ডপ হিসেবে। এক্কেবারে দিঘার রেপ্লিকা। সৌজন্যে নেতাজিনগর নাগরিকবৃন্দ। মহিলা পরিচালিত এই পুজোতে নিশ্চিতভাবেই এবার জনতার ঢল নামবে। এখানকার সাংস্কৃতিক সম্পাদক জ্যোতি চৌধুরী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমরা সেই ইতিহাসকে শুধু ছুঁয়ে দেখছি। আমাদের পূজামণ্ডপ এবার জগন্নাথধাম। অবশ্যই এই ভাবনা ও পরিকল্পনা আমাদের প্রিয় দাদা রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসের। তিনি সবটুকু দিয়ে আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমরা এই এত বড় কাজের সাহসই পেতাম না। উনিই আমাদের উত্সাহ দিয়েছেন তাই করতে পারছি। তবে এটুকু বলতে পারি, যাঁরা আমাদের মণ্ডপ দেখবেন তাঁরা চোখ ফেরাতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-তিন স্পিনারের ভাবনা ভারতের, আজ শুরু এশিয়া কাপ
জ্যোতি বলেন, দিঘায় জগন্নাথধামে চারটি স্তর রয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমাদের অত জায়গা নেই তাই একটি স্তর কম করতে হচ্ছে। এখানে সিংহদুয়ার, একটু জায়গা রেখে বিষ্ণুমূর্তি, গর্ভগৃহ, মূল মন্দির থাকছে। আর মা দুর্গার আদল মন্দিরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জগন্নাথের আদলে তৈরি হচ্ছে। এটাও মন্ত্রীর অবদান। তিনিই এই বিষয়টি ধরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া দিঘার মতো সিংহদুয়ারের সামনে থাকছে অরুণ স্তম্ভ। এছাড়া দিঘার মন্দির চত্বরে ঢুকতে গেলে ছয়টি স্তর পেরোতে হয়। এখানে স্থান সংকুলানের জন্য একটি স্তর কম থাকছে। এছাড়া একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ থাকছে। যা তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথধামের তুলসী মন্দিরের আদলে। যেখানে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আওতাধীন একাধিক দলের নানা অনুষ্ঠান থাকবে। সৌজন্যে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সব মিলিয়ে জমজমাট ব্যাপার। আমাদের প্রতিমা শিল্পী কুমোরটুলির দীপঙ্কর পাল।
সব চেয়ে মজার বিষয় হল, দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরির সময় সিপিএমের লোকেরা অনেক বাঁকা কথা বলেছে। কিন্তু আমাদের মণ্ডপ তৈরি দেখে এখন এলাকার বামপন্থীরাও বলছেন রেপ্লিকা যদি এত অপূর্ব হতে পারে তবে দিঘার আসল জগন্নাথধাম কতটা সুন্দর! এবার ওখানে গিয়ে দেখে আসতে হবে। গর্বের সঙ্গে বললেন জ্যোতি চৌধুরী।