প্রতিবেদন : রেলওয়েতে ‘কবচ’ নামক সংঘর্ষ নিরোধক যন্ত্র জুলাই ২০২০ সালে জাতীয় এটিপি সিস্টেম হিসেবে গৃহীত হয়। গত পাঁচ বছরে রেলে কবচ স্থাপনের গতি ধীর হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ উচ্চ প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও, পরীক্ষা, উন্নয়ন ও সীমিত সংখ্যায় সরবরাহকারী সংস্থার কারণে বিলম্ব ঘটছে। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, কবচ স্থাপনের জন্য এখন পর্যন্ত ১৯৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ সালের জন্য ১১১২.৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্প্ল্যাশডাউনের পর সোজা রিহ্যাবে
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে ৫৭৪৩ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন, ৫৪০টি টেলিকম টাওয়ার স্থাপন, ৬৬৪টি স্টেশনে কবচ স্থাপন, ৭৯৫টি লোকোমোটিভে কবচ স্থাপন এবং ৩৭২৭ কিমি রুট ট্র্যাক সাইড সরঞ্জাম। ‘কবচ’ স্থাপন সংক্রান্ত কাজের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি রূপায়ণে ধীরগতির জন্য অর্থের অভাব দায়ী নয়, কারণ কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী পর্যাপ্ত তহবিল দেওয়া হচ্ছে। কবচ ভার্সন ৪.০, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুমোদিত, বড় আকারে স্থাপনের জন্য প্রস্তুত। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ১০,০০০ লোকোমোটিভ সজ্জিত করা, যার জন্য ৬৯টি লোকো শেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া, ১৫,০০০ রুট কিমি-এর জন্য ট্র্যাক সাইড কাজের দরপত্র আমন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮৬৫ রুট কিমি-এর কাজ বরাদ্দ হয়েছে। আরও সরবরাহকারী সংস্থার অনুমোদন এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রসারিত করা হচ্ছে। ট্র্যাক সাইড ও স্টেশন সরঞ্জামের জন্য খরচ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রতি কিলোমিটার এবং লোকোমোটিভে কবচ স্থাপনের জন্য ৮০ লক্ষ টাকা প্রতি লোকো। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত কবচ দ্বারা বর্তমানে ৩৭২৭ রুট কিমি কভার করা হয়েছে।