প্রতিবেদন : হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসন এবার দেশের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আইআইটিগুলি দেশের প্রথম সারির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে মূলত বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা হয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির জমানায় সবই সম্ভব। তাই এবার গুয়াহাটি আইআইটিতে হতে চলেছে, গো-বিজ্ঞান নিয়ে জাতীয় সম্মেলন। ২০ ও ২১ মে ওই সম্মেলন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন-২ বছর কারাদণ্ড রাহুলের
আইআইটি গুয়াহাটির পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। সম্মেলনে পাঠ করার জন্য মৌলিক গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল মোদি তথা বিজেপির জামানায় হিন্দুত্ববাদীদের রমরমা কীভাবে বেড়েছে। আইআইটির মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিজ্ঞান নিয়ে এই আলোচনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলের কৌতূহল উদ্রেক করেছে। পাশাপাশি নেটিজেনরা এ ধরনের আলোচনাসভার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, আইআইটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরু নিয়ে আলোচনা নিতান্তই হাস্যকর।
আরও পড়ুন-আদানির গ্রেফতারি চেয়ে ময়দানে তৃণমূল, অর্থমন্ত্রক, সিবিআই, ইডি দফতরে চিঠি সাংসদদের
আইআইটি গুয়াহাটির ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, গরু দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই গো-বিজ্ঞানকে ঠিকমতো বোঝা দরকার। বিষয়টি সহজভাবে বোঝা গেলে কৃষিকাজের দক্ষতা যেমন বাড়বে, তেমনই মিলবে ধারাবাহিক সাফল্য। গো-বিজ্ঞানের সাহায্যে কৃষির উন্নয়ন ঘটলে দেশেরও উন্নয়ন হবে। দু’দিনের ওই সম্মেলনে গরু সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণাপত্র যেমন পেশ করা হবে, তেমনই তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হবে। চলবে প্রদর্শনী ও ওয়ার্কশপ। দু’দিনই রয়েছে গো-বিজ্ঞান নিয়ে একাধিক আলোচনাচক্র। এই আলোচনার জন্য ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি আইআইটির তরফে মৌলিক গবেষণাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মনরেগাতে বাংলার বকেয়া, ক্ষোভ তৃণমূলের
ভারতীয় সমাজে গরুর অবদান, দেশের উন্নয়ন, অর্থনীতি ও গ্রামোন্নয়নে গরুর ভূমিকা প্রভৃতি বিষয়ে মৌলিক গবেষণা পত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে হঠাৎই কেন তারা গো-বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে বসেছে তা নিয়েই সকলে প্রশ্ন তুলেছে।