প্রতিবেদন : আন্দোলন আর দানা বাঁধছে না। তাই চাকরি আটকাতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হল রাম-বামেরা। আসলে ওরা চাকরি খাওয়ার মধ্যে পৈশাচিক আনন্দ খুঁজে পায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পাশাপাশি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তখন জট পাকাতে সেই আইনি পথেই হাঁটা দিল রাম-বামের দল। বিকাশ ভট্টাচার্য-ফিরদৌস শামিমরা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অবমাননা করেই সেই মামলা দায়ের করা হল। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার জট খুলতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যখন সঠিক পথে পুরো প্রক্রিয়া এগোতে শুরু করেছে, তখনই নিজেদের নখ-দাঁত বের করে মরণ-কামড় দিতে উঠে-পড়ে লেগেছে রাম-বামেরা। এসএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী ৫ জুন বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর বেঞ্চে মামলার শুনানি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, পরীক্ষার পদ্ধতি বা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে গোটা পদ্ধতি করা হচ্ছে। যাঁরা চাকরি দিতে চায় না, যাঁরা জট পাকাতে চায়, যাঁরা ছেলেমেয়েগুলোর ভাগ্য নিয়ে খেলতে চান তাঁরা বারবার কোর্টে গিয়ে বলেছেন সবার চাকরি খেতে হবে, গোটা প্যানেল বাতিল করতে হবে! যারা চাকরি বাতিল করতে চায় তারাই কোর্টে গেছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জট খুলতে চাইছেন, অপরদিকে কিছু লোক চাকরিহারাদের চোখের জলের উপর রাজনীতি করতে চায়, জট পাকাতে চাইছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-দের আর্থিক সংস্থান করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষী লোভীরা মামলা করছে। বিরোধীরা এবার মানুষ চিনে নিক, কারা পাশে দাঁড়াতে চাইছে আর কারা অসহায়দের চোখের জলের উপর রাজনীতি করছে।
আরও পড়ুন- লোকালয়ে ঢুকে পড়ল বাঘ, আতঙ্ক মৈপীঠে