প্রতিবেদন : দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্প রূপায়িত হলে গোটা বাংলা উপকৃত হবে। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল বুঝিয়ে যে সব স্থানীয় মানুষকে খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করতে উস্কাচ্ছে বাম বিজেপি, তাঁদের কাছে এবার নিজে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে শিল্প বৈঠকে তিনি জানান, ওই প্রকল্পে বাংলার সর্বস্তরের মানুষের উপকার হবে। কিন্তু প্রকল্পের সবথেকে বেশি সুফল পাবেন স্থানীয়রাই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, যারা জমি দিয়েছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রায় হাজারখানেক ছেলেমেয়েকে হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছি। যাদের ১৮ বছর হয়নি, তাদের ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ১৮ বছর হলে তারা চাকরি পাবেন। দেউচা পাঁচামির কয়লা খনন শুরু হলে স্থানীয় ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবে।
আরও পড়ুন-নাইটদের নতুন নেতা রাহানে, চমক জার্সিতেও
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের দেউচা-পাঁচামিতে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার কথা। প্রস্তাবিত কয়লা খনি গড়তে মোট ৩৩৭০ একর জমি প্রয়োজন। তার মধ্যে ১০০০ একর সরকারি জমি আছে। বাকি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। প্রথম পর্যায়ে ঠিক হয়েছিল দু’টি পর্যায়ে খনি হবে। প্রথমে দেওয়ানগঞ্জ হরিণশিঙা, পরে দেউচা-পাঁচামি খনি এলাকা। সে ভাবেই জমি কেনা শুরু হয়। পরে দু’টি এলাকাতেই সরকার নির্ধারিত দরে পর্যায়ক্রমে জমি কিনেছে। জমিদাতা পরিবার থেকে ১৪০০ জনের বেশি সদস্য সরকারি চাকরি পেয়েছেন। খনি গড়ার ‘নোডাল’ সংস্থা পিডিসিএল বা রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম।