সংবাদদাতা, তেহট্ট : কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে এক বিরাট সভা আয়োজিত হল নদিয়া জেলার তেহট্ট নাজিরপুরে। তেহট্ট অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে। সম্প্রতি মহম্মদ সেলিম ও মিঠুন চক্রবর্তী সভা করে যেসব কুৎসা করে গিয়েছিলেন, তার যোগ্য জবাব দিতেই এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন।
আরও পড়ুন-পিঠেপুলি বানিয়ে স্বনির্ভর কাটোয়ার দুই গৃহবধূ
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। ছিলেন জুলফিকার আলি খান, বিধায়ক তাপস সাহা, বিমলেন্দু সিংহরায় ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ। নিজের ভাষণে শান্তনু সেন মিঠুন চক্রবর্তী ও মহম্মদ সেলিমকে তুলোধোনা করেন। মিঠুনের নিজেকে জাত কেউটে বলে দাবি করা, এক ছোবলেই ছবি করে দেওয়ার কথা তুলে দর্শকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কেউটেকে পছন্দ করেন কি না বা সাপের ছোবল খেতে রাজি কি না। উপস্থিত কর্মীরা একযোগে ‘না’ বলেন। বামেদের প্রসঙ্গে শান্তনুর প্রশ্ন, ওরা তো ৩৪ বছর তো ক্ষমতায় ছিল, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য— কোথাও উন্নয়ন হয়নি কেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সংখ্যালঘু থেকে তফসিলি জাতি-উপজাতি সবার জন্যই উন্নয়ন করেছেন। তিনি তারাপীঠ বা দক্ষিণেশ্বরের উন্নতি করেছেন, তেমনই মোয়াজ্জেম ভাতা দিচ্ছেন, কবরস্থানগুলো সাজিয়ে দিচ্ছেন। সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছেন। আগে তফসিলি শংসাপত্র পেতে হয়রান হতে হত। এখন তা সহজেই পাওয়া যায়। সাংসদ মহুয়া মৈত্র শুক্রবার, তেহট্ট-২ ব্লকের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় দাবি করেছেন যে, বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের নিজেদের মেয়ে হিসেবে বিবেচনা করেন এবং মনে করেন, তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি সর্বদা সবাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন।