প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে রাজপথেই বিচারের দাবি তুলেছিল সিপিএম। কিন্তু তাদের ইস্তাহারেই বলা হয়েছে ঠিক উল্টো কথা। আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি-পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সিপিএমের দ্বিচারিতা।
আরও পড়ুন-নিগ্রহের মুখে পড়েও প্র্যাকটিস বন্ধ করেননি
আরজি করের ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাম-বাম একজোট হয়ে রাজনীতি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই ঘৃণ্য অপরাধের চরম শাস্তির বিধান আনার দাবি জানিয়েছেন, তখন সিপিএম শুধুই শহরের রাস্তা গরম করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। তারা যে তৃণমূল বা রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে একসুর হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তির দাবি জানাতে পারবেন না, তা তাঁদের লোকসভার ইস্তাহারেই প্রমাণ পাওয়া যায়। সিপিএমের এই দ্বিচারিতা ফাঁস করে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, ইস্তাহারে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিরোধিতার নীতি নিয়েছিলেন বামেরা। আর এখন রাজপথে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। তিনি বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রথম থেকেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একধাপ এগিয়ে খুনি-ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সুর চড়িয়েছিলেন। সেখানে সিপিএমের ইস্তাহারে মৃত্যুদণ্ডের ধারা রদের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ইস্তাহার তুলে ধরেন। ইস্তাহারে মৃত্যুদণ্ডের ধারা রদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যে বামেরা বিচার চেয়ে রাজপথ গরম করছেন, সেই বামেদের নীতিগত দ্বিচারিতাকে স্পষ্ট করেছে তাদেরই ইস্তাহার।