গত ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলাশাসক মোহনের (Mohan) বদলির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কান্নুর (Kannur) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিব্যা সর্ব সমক্ষে তাঁকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেছিলেন। ঠিক পরের দিনই পরের দিন মোহনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সৎ অফিসার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মোহন। মনে করা হচ্ছে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে গিয়ে শাসকদল সিপিএমের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অপমান এবং চাপের মুখে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পরিবারের তরফে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-অবশেষে জ্বলল মশাল
এই অবস্থায় মঙ্গলবার স্থানীয় সিপিএম নেত্রী পিপি দিব্যাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে কেরলে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। কান্নুরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মঙ্গলবার দিব্যার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই পদক্ষেপ গ্রহণ করার বার্তা দিয়েছে পুলিশ। যদিও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে ঘটনার প্রথম থেকেই প্রভাবশালী নেত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মানবাধিকার কমিশন পুলিশের রিপোর্ট তলব করেছে তবে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে মোহনের নিজের জেলা পথনমথিট্টার সিপিএম নেতারাও দিব্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। দিব্যা আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তবে গতকাল মঙ্গলবার সেটা খারিজ হয়ে যায়। তারপর গ্রেফতার হন তিনি। প্রসঙ্গত, বিনা আমন্ত্রণে সেই অনুষ্ঠানে পৌঁছে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে এভাবে যে অতিরিক্ত জেলাশাসককে অপমান করে নিজের গায়ের জ্বালা মেটাবেন সিপিএম নেত্রী,সেটা ছিল ধারণার অতীত। এমন এক ঘটনায় অবাক হয়ে যান সকলে। সিপিএম নেত্রী অভিযোগ করেন, একটি পেট্রোলপাম্প তৈরির ছাড়পত্র দেননি অতিরিক্ত জেলাশাসক। যদিও পরে জানা যায়, বৈধতা খতিয়ে দেখে শেষপর্যন্ত ছাড়পত্র দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। কিন্তু তারপরেও বিনা আমন্ত্রণে হাজির হয়ে কোন অধিকারে তাঁকে এভাবে অপমান করলেন সিপিএম নেত্রী সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।