সংবাদদাতা, হুগলি : ১৪ বছর পর ন্যায়বিচার পেলেন গোঘাটের তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিন। তাঁর খুনের ঘটনায় ১৪ বছর পর সাজা ঘোষণা করল আরামবাগ আদালত। এদিন দোষীদের মধ্যে একজনকে ফাঁসি ও ১৮ জনকে যাবজ্জীবন সাজা শোনালেন বিচারক। ২০১১ সালে গোঘাটের তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিনকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল।
ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন গোঘাটের তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। কিন্তু তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল আদালত। তবে অপর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম কর্মী বলদেব বসুকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর শাওড়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন মাথায় গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিনকে। সেই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। মৃতের স্ত্রী গোঘাট থানায় ৩০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলকর্মী খুনে গোঘাটের তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, তৎকালীন সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায়, দেবু চট্টোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। এছাড়াও অভিযোগে নাম ছিল একাধিক সিপিএম নেতা-কর্মীর।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। আরামবাগ মহকুমা আদালতে এই মামলা ওঠে। পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট ফাইল করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই মামলা। মামলা চলাকালীন চারজন অভিযুক্ত মারা যান। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত ২৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ১৪ বছর পর ওই মামলায় ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।