প্রতিবেদন : কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ল সিপিএম-রাজ্যে। ফাঁস হয়ে গেল আর্থিক বেনিয়ম। আর সেই বেনিময়ে জড়িয়ে সরকারি আধিকারিকরাই। তাঁরাই হাপিশ করে দিয়েছেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ৬২ লক্ষ রাজ্যবাসীর পেনশন। রাজ্যবাসীর অ্যাকাউন্টে না ঢুকে পেনশনের টাকা ঢুকছে সরকারি আধিকারিকদের অ্যাকাউন্টে! আজব-কাণ্ড সিপিএম-শাসিত কেরলে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে।সম্প্রতি কেরল প্রশাসন একটি সমীক্ষা শুরু করে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া যে মানুষগুলোর জন্য পেনশন ধার্য করেছে রাজ্য সরকার, তাঁরা ঠিকমতো পেনশন পাচ্ছেন কি না তা জানতেই এই সমীক্ষা।
আরও পড়ুন-সন্ন্যাসীদের সামনে রেখে পুলিশকে হামলা বিজেপির
সমীক্ষা চালাতে গিয়েই সামনে আসে আর্থিক বেনিয়মের বিষয়টি। দেখা যায় পেনশনের টাকা ভর্তি হচ্ছে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে। আমলাদের এই আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সমীক্ষার মোড় ঘুরে গিয়েছে অন্যদিকে। কীভাবে এত দিন ধরে এই জালিয়াতি চক্র চলছিল, তার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যে সিপিএম দুর্নীতি নিয়ে গালভরা কথা শোনায়, তাদের রাজ্যেই দীর্ঘদিন ধরে বাসা বেঁধেছে পেনশন-গায়েব চক্র। এবার কী বলবে সিপিএম?কেরলে ৬২ লক্ষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ সরকারি পেনশনের পরিষেবা পান। প্রতি মাসে ১৬০০ টাকা করে তাঁদের জন্য বরাদ্দ পেনশন। কিন্তু সেই পেনশন কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল না। অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তখনই অর্থ দফতর অডিট করার পরিকল্পনা করে। চালানো হয় সমীক্ষা। দেখা যায়, পেনশনের টাকা সরকারি কর্মীদের একাংশের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। প্রায় ১৫০০ সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে এমন গরমিল ধরা পড়ে। এই তালিকায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক, গেজেটেড অফিসারও রয়েছেন। অর্থমন্ত্রী কে এন বালগোপাল এরপরই তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তাও দিয়েছেন তিনি।