‘জাগোবাংলা’য় লেখার জেরে প্রয়াত বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করল সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো ঘোষণা করা হয়নি। ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’- এই শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে ‘জাগোবাংলা’য় লিখেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ অজন্তা বিশ্বাস। তাঁর কলমে গীতা মুখোপাধ্যায়, আভা মাইতি, অপরাজিতা গোপ্পী, পূরবী মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণা বসুর সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন-কাবুল থেকে ভারতীয়দের নিয়ে ফিরছে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান
সূত্রের খবর, কলকাতা জেলা কমিটি থেকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে অজন্তা বিশ্বাসকে। শোকজের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায়, সাসপেন্ড করা হল অজন্তা বিশ্বাসকে। ‘জাগো বাংলা’র উত্তর সম্পাদকীয়র শেষ কিস্তিতে মমতাকে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম সেরা বাঙালি নারী হিসেবে অভিহিত করেন অজন্তা বিশ্বাস। এরপর অজন্তা স্পষ্ট জানান, ‘দলমত নির্বিশেষে বঙ্গ রাজনীতিতে সকল মহিলাদের কথা তুলে ধরাই আমার প্রয়াস।’
অজন্তা জানিয়েছিলেন, ‘ইতিহাসের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার গবেষণার অন্যতম বিষয় বঙ্গ নারী। বেশ কিছু দিন ধরে আমি এ বিষয়ে গবেষণা করে আসছি। এমনই একটি লেখা প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ। ইতিহাসের দৃষ্টিকোণে রচিত এই লেখায় যেমন রয়েছেন স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িত নেত্রীরা, তেমনই এসেছেন জাতীয়তাবাদী নেত্রীদের কথাও।’
আরও পড়ুন-একলাফে ২৫ টাকা বাড়ল গ্যাস সিলিন্ডারের দাম, মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ
অজন্তার কথায়, “এক বাঙালি নারী হিসেবে একটি নতুন সর্বভারতীয় দলের প্রতিষ্ঠা করে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)”। কংগ্রেসে যোগদান থেকে শুরু করে আলাদাভাবে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন এবং তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা পর্যন্ত- মমতার উত্থানের সবটাই উঠে এসেছে অজন্তা বিশ্বাসের লেখনীতে।