প্রতিবেদন : কেন্দ্র যা করেনি, রাজ্য সরকার তাই করে দেখাল। বাংলার মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার আবর্তে যুক্ত করা হল এই বাজেটে (West bengal Budget 2023)। যা এককথায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন মাইল ফলক। বুধবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র (Amit Mitra)। একাধিক সামাজিক প্রকল্প এ রাজ্যে আগে থেকেই চলছে। তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও কয়েকটি প্রকল্প। পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক বুনিয়াদকে আরও দৃঢ় করা হচ্ছে। নতুন শিল্প করিডর তৈরি করা হচ্ছে যা পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত হবে। এই বাজেটে একাধিক শিল্প করিডর যেমন হলদিয়া-ডানকুনি, রঘুনাথপুর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। বাংলার বুকে এটাই নয়া আর্থিক পদক্ষেপ। এবারে রাজ্য বাজেটকে ‘জনমুখী বাজেট’ হিসাবে গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার। বাজেট পেশের পর বিশ্লেষণে বললেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। বুধবার তিনি বলেন, শিল্পক্ষেত্রে রাজ্য চায় ইকোনমিক করিডর গড়ে তুলতে, তাই এবারের বাজেটে আয় ও ব্যয়-এর সামঞ্জস্যরক্ষা করার দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যবাসীর হাতে নগদের জোগান বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে এই বাজেটে— মন্তব্য করেছেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জয়বাংলার মতো একাধিক প্রকল্প বিশেষ করে অগ্রাধিকার পেয়েছে বাজেটে। সাধারণ মানুষের উপর কোনও বাড়তি বোঝা চাপানো হয়নি। রাজস্ব খাতে আয় বাড়ানো এবার চ্যালেঞ্জ। বাজেট বক্তৃতায় তাই বলা হয়েছে বিক্রয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। এর ফলে রাজ্যের কোষাগারে বাড়বে আয়। যা আগেও করা হয়েছে। জমি-বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্যের আয় বাড়াতে পরিবহণ ক্ষেত্রে কর কাঠামোতেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।