প্রতিবেদন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মাধ্যমে গুজরাতের সমবায় ব্যাঙ্কে ৪ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছে লোডশেডিং অধিকারী। এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কাঁথি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রদীপ গায়েন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কাঁথির গ্রিনসিটি প্রকল্পের আওতায় থাকা বিভিন্ন সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প সহ বাতিস্তম্ভ প্রকল্পেও দুর্নীতি করেছে লোডশেডিং অধিকারী। তারও তদন্ত এগোচ্ছে। এই কেসে অধিকারী পরিবারের দু’জনকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রদীপ গায়েন।
পাশাপাশি, কাঁথির শ্মশানের জমি বিক্রির মামলায় কাঁথি পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ তথ্য ও নথি আদালতে জমা দিল রাজ্য। শুক্রবার সৌমেন্দুর এফআইআর খারিজ মামলার শুনানিতে রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, এই শ্মশান চুরির ঘটনায় একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি চুক্তিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ, যেখানে স্পষ্ট যে শুধুমাত্র সৌমেন্দু অধিকারী সমস্ত দোকানের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। সবার কোনও প্রকল্পের কাজে যেখানে গঠিত বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় সেখানে একা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌমেন্দু। এছাড়াও পুরসভার যে রশিদ উদ্ধার হয়েছে সেখানেও সৌমেন্দুর সই রয়েছে কিন্তু সেই টাকা জমা পড়েনি পুরসভার ভাঁড়ারে। আদালতে সরকারি আইনজীবী আরও জানান, অভিযোগকারীদের জবানবন্দিও পুলিশের কাছে রয়েছে। তার থেকে স্পষ্ট যে বৃহত্তর দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন তিনি