প্রতিবেদন : ধর্মতলা থেকে শোনা যাচ্ছে জনতার গর্জন। ডিজের আওয়াজও একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছে। আর সেই আওয়াজ কানে নিয়ে এঁকেবেঁকে ভিড় এগোচ্ছে ইডেন গার্ডেন্সের দিকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ছবি।
কত দিন? তিন বছর। কোন এক ভয়ঙ্কর অতিমারি থামিয়ে দিয়েছিল জনজীবন। জীবন থামলে থামবে ক্রিকেট। থেমেছিল আইপিএল। বিক্ষিপ্তভাবে কখনও মরুদেশ, কখনও মহারাষ্ট্র। ঘুরতে ঘুরতে কোটিপতি লিগ ফিরল ক্রিকেটের নন্দন কাননে। ভিড়ে ঠাসা ইডেন দু’হাত ভরে স্বাগত জানাল ২০-র ম্যাজিককে। উপেক্ষিত ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহাকেও। এই মাঠের ঘাস যাঁর ভীষণ চেনা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো শিবিরে সামাজিক দায় পালনে পুলিশ
একশো শতাংশ লোকের অনুমতি ছিল। ভর সন্ধ্যাতেই ভিড়ে টইটুম্বুর ইডেন। গুজরাট টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায় ম্যাচের শুরুতেই ঘরের ছেলের দর্শন পেল জনতা। ঋদ্ধিমানের জন্য এত আবেগ জমিয়ে রেখেছে কলকাতা কে জানত। ক্লাব হাউসে ঢোকার মুখে দেখা হয়ে গেল এক প্রবীণ সিএবি কর্তার সঙ্গে। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলছিলেন, চল ঋদ্ধি, আজ বাঙালির জেদ দেখিয়ে দে। ওরা নেবে না, তুইও ছাড়বি না!
আইপিএল নিয়ে অনেক স্মৃতি শহরের। সুপার দাদাগিরি দেখেছে ইডেন। সৌরভ এখন বোর্ড সভাপতি। সকালে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন।
আরও পড়ুন-মঙ্গলবার শেষ হল দোকানি, বাসিন্দাদের দেওয়া সময়সীমা রেলের উচ্ছেদ রুখবে তৃণমূল
তারমধ্যে শুনলেন শহরে জমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কী হবে? ‘‘বৃষ্টি থামলেই খেলা শুরু হবে। চিন্তা নেই।” নিশ্চিন্ত তিনি। হলও তাই। সন্ধ্যায় যখন খেলা শুরু হল, সকালের বৃষ্টির কোনও ছাপ নেই। যেন অনেকদিন বৃষ্টিই হয়নি।
হাজার পঞ্চাশেকের ভিড়ে ইডেনে আরেকটা জিনিসও হারিয়ে গেল। তিন বছরের আতঙ্ক। মঙ্গলের সন্ধায় ইডেনে বসে যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারতেন, সখি, কোভিড কাহারে বলে?