অলোক সরকার: অনেকদিন পর!
অনেকদিন পর শিলিগুড়িতে এসে লম্বা ছুটি কাটালেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha in Siliguri)।
নিজের শহরে তিনি ঋদ্ধিমান নন, পাপালি। নিজে অনেকদিন কলকাতায় থাকলেও বাবা-মা শিলিগুড়িতেই থাকেন। এবারের সফরে ঋদ্ধিমান অবশ্য প্রচুর বৃষ্টি পেলেন। রাস্তা-মাঠ জলের তলায়। তবু এরমধ্যেই সুযোগ পেলে কিপিং গ্লাভস হাতে আশ্রমপাড়ায় অগ্রগামী ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের নেটে নেমে পড়েছেন। উঠতি ক্রিকেটাররা তাঁকে পেয়ে উৎসাহ পেয়েছে। তিনি এদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। টিপস দিয়েছেন। কাউকে নিরাশ করেননি।
শিলিগুড়ি আসা ইস্তক এবার ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha in Siliguri) একটি বিষয় নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেটা হল, তাঁর শহরে পূর্ণ সময়ের ক্রিকেট মাঠ নেই কেন? এমন মাঠ যেখানে সারা বছর শুধু ক্রিকেটই হবে। অগ্রগামী নেটে হালকা নকিং করার ফাঁকে এটা নিয়ে ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। জয়ন্ত বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘ঋদ্ধিমান বলছিল একটা সময় শিলিগুড়িতে রঞ্জি, দেওধর ট্রফির মতো খেলা হয়েছে। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট হয়েছে। এখন কিছুই হয় না।”
আরও পড়ুন: অভিষেকের ক্লাব লিগের ‘এ’ গ্রুপে
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আগে ক্রিকেট হলেও এখন সেটা ফুটবলের মাঠ হয়ে গিয়েছে। জয়ন্ত জানালেন, শিলিগুড়িতে উত্তরায়ণের মাঠে আগে ক্রিকেট হত। খুব বড় মাঠ। কিন্তু নানা সমস্যায় ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেখানে। ঋদ্ধিমানের মুখে নিজস্ব ক্রিকেট মাঠের দাবি শুনে এবার অনেকেই এগিয়ে আসছেন। যাতে ভবিষ্যতের পাপালিরা হাতের কাছে ক্রিকেট মাঠ পায়।
সিএবির এক কর্তার কথায় হতাশ ঋদ্ধিমান আর কখনও বাংলার হয়ে খেলবেন না জানিয়েছেন। ছোটবেলার কোচ এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাননি। ‘‘তবে এটুকু বুঝেছি সিএবি থেকে একটু উদ্যোগ নিলেই সমস্যা মিটে যেত। কিন্তু ওরা সেই আগ্রহ দেখায়নি।” ফোনেই বলছিলেন কোচ জয়ন্ত।