প্রতিবেদন: অপরাধমুক্ত সীমান্তের জন্য বদ্ধপরিকর ভারত। বাংলাদেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল একথা। বুঝিয়ে দেওয়া হল, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বিজিবির কোনও ওজর-আপত্তিই গ্রাহ্য করবে না ভারত। চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ রুখতেও নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে তলব করেছিল বাংলাদেশের বিদেশ দফতর। অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহঃ জসিম উদ্দিন সীমান্ত নিয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলে সেখানেই ভারতের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে দেন প্রণয় বর্মা। জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে উসকানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অন্যদিকে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে যাবতীয় অশান্তির দায় ভারতের উপরেই চাপিয়ে দিতে চেয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, শেখ হাসিনার সময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে অনেকগুলো অসম চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিগুলো বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তাঁর কথায়, ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা হবে। ডিজি পর্যায়ে জরুরি বৈঠক হবে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। তখনই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্ত-সংক্রান্ত অসম চুক্তিগুলো বাতিল করার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের এই ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে ইতিহাস ভুলে গিয়ে কতটা বিশ্বাসঘাতক এবং অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠেছে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে। সেই চুক্তি বাতিলের কোনও এক্তিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আদৌ আছে কি না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের উসকানি, সীমান্ত অস্থির, ব্যর্থ বিএসএফ
এদিকে বাংলাদেশে অব্যাহত মৌলবাদী তাণ্ডব। লালমণিরহাটের ভবতারিণী মন্দিরে দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে বিগ্রহের সোনার গয়নাগাটি। নিয়ে গিয়েছে মোটা অঙ্কের নগদ টাকাও। প্রাচীন এই মন্দিরে এমন ঘটনা এই প্রথম। আশ্চর্যের বিষয়, এই নিয়ে এখনও কোনও তদন্তই শুরু করেনি পুলিশ।