প্রতিবেদন : পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও সে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অনেকটা শ্রীলঙ্কার মতোই। এই মুহূর্তে কয়লা ও সিএনজি কেনার মতো অর্থ সরকারি কোষাগারে নেই। আর্থিক সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী মিফতা শেহবাজ শরিফ। অর্থমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, টাকার অভাবে দেশের বৃহৎ সিএনজি আমদানিকারী সংস্থা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। কয়লার দাম আকাশছোঁয়া। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে কয়লা কেনার মতো সামর্থ্য এই মুহূর্তে সরকারের নেই। এর ফলে দু’একদিনের মধ্যেই পাকিস্তানে (Pakistan) ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে বিদ্যুতের মূল্য এক লাফে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। সূত্রের খবর পাকিস্তানের আর্থিক সংকট এতটাই ঘনীভূত হয়েছে যে, ১৩ এপ্রিল দেশে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। পাকিস্তানের এই আর্থিক সংকট কীভাবে কাটবে সে বিষয়ে কোনও দিশা দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাও।
এদিকে ইমরান খানের জমানা শেষ হওয়ার পর এবার প্রশাসন ও সাংবিধানিক পদে থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের উপর কোপ পড়া শুরু হল। পাঞ্জাবের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমাকে অপসারিত করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। একইসঙ্গে সরফরাজকে অবিলম্বে গভর্নরের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হামজা শরিফকে শপথবাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করার কারণে সরিয়ে দেওয়া হল পাঞ্জাবের গভর্নরকে। অন্যদিকে সরফরাজের দাবি, গভর্নর পদ থেকে কাউকে সরানোর ক্ষমতার প্রধানমন্ত্রীর নেই। একমাত্র দেশের প্রেসিডেন্ট তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেন। অপসারিত গভর্নর সরফরাজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গত সপ্তাহে শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়েও পাঞ্জাব বিধানসভায় ঘটেছিল নজিরবিহীন ঘটনা। ওই দিন বিধানসভার ভিতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল পিএমএল (এন), পিটিআই এবং পিএমএল (কিউ) বিধায়করা। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হামজা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই মুখ্যমন্ত্রীকেই শপথবাক্য পাঠ অস্বীকার করেন সরফরাজ।