সংবাদদাতা, বারাসত : কাকে কান নিয়ে গিয়েছে শুনে কাকের পিছনে দৌড়নো— এই মর্মে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগই তুললেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার। প্রশ্ন তুললেন, বাংলার মানুষ কি এই রাজপালের থেকে সুরক্ষিত, যিনি জীবিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে বাইরে এসে সেই মানুষটাকেই মৃত বলছেন! রাজ্যপাল তো ভোটের দিন এলাকায় দাঙ্গা লাগানোর পরিস্থিতি করে দিচ্ছেন। উনি বিরোধীদের কথা শুনেই কাজ করছেন। এমন কঠোর ভাষাতেই সমালোচনা করেন বারাসতের সাংসদ তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি। বলেন, এতদিন ধরে আমরা যে অভিযোগ করে আসছিলাম, তা প্রমাণিত হল শনিবার, ভোটের দিন।
আরও পড়ুন-বিজেপির সন্ত্রাসের দাঁত-নখ বেরিয়ে এল
বিরোধীরা চক্রান্ত করে ভোটের দিন সকালেই প্রচার করে, বারাসত ১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পিরগাছা এলাকার এক নির্দল সমর্থককে খুন করা হয়েছে। নাম আবদুল্লাহ (৪৫)। গুজব শুনে প্রশাসনিক স্তরে খোঁজ না নিয়েই রাজ্যপাল তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁদের বুথে গিয়ে দেখা করে সমবেদনা জানান। পরে তাঁকে বারাসত হাসপাতালে দেখতেও আসেন। কিন্তু সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, একটি ঘটনায় ৪ জন আহত হয়ে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহর অবস্থা গুরুতর, তবে স্থিতিশীল। প্রশ্ন, তাহলে রাজ্যপাল কোন তত্ত্বের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর জানালেন আবদুল্লাহকে খুন করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতেই বা উনি বারাসতে এলেন? কাকলির প্রশ্ন, ভোট চলাকালীন রাজ্যপাল কী করে ভোটকেন্দ্র এলাকায় গেলেন? আইন তো তাঁর জানা উচিত।