দোহা, ১৭ ডিসেম্বর : দাভর সুকেরদের স্মৃতি ফেরালেন লুকা মদ্রিচরা। মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে তিন নম্বরে থেকেই কাতার বিশ্বকাপ শেষ করল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও তিন নম্বরে শেষ করেছিল ক্রোটরা। সেবার দলের অধিনায়ক ছিলেন সুকের। তবে চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে সুকেরদের কীর্তি টপকে গিয়েছিলেন মদ্রিচরা।
আরও পড়ুন-অভিষেকের নির্দেশ, ইস্তফা ৪ ঘণ্টার মধ্যেই
নেহাতই নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও শনিবার দুই যুযুধান দলকে দেখে মনে হয়েছে যেন বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে। আসলে সেমিফাইনালে হারের আক্ষেপ এই ম্যাচটা জিতে মেটাতে চেয়েছিল দুই দল। তাই শুরু থেকে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠেছিল। সাত মিনিটেই জসকো গারভাদিয়লের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচের ফ্রি-কিক থেকে বল হেডে মরক্কোর পেনাল্টি বক্সে ভাসিয়েছিলেন ইভান পেরিসিচ। শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে অসাধারণ হেডে গোল করেন গারভাদিয়ল। তবে সমতা ফেরাতে মাত্র মিনিট দুয়েক সময় নেয় মরক্কো। হাকিম জিয়েচের ফ্রি-কিক থেকে হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন আশরাফ দারি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সমতা ফেরানোর পর ক্রোয়েশিয়াকে রীতিমতো চেপে ধরেছিল মরক্কো। তবে বিরতির ঠিক আগে ফের গোল করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। বক্সের দুরূহ কোণ থেকে মরোক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বুনুর মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন মিরোস্লাভ ওরসিচ। এক কথায় অনবদ্য গোল।
আরও পড়ুন-একদা ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর কাঁপছে ফুটবল-জ্বরে
পিছিয়ে পড়েও লড়াই ছাড়েনি মরক্কো। বরং গোল শোধের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান আশরাফ হাকিমিরা। একবার তো পেনাল্টির জোরালো আবেদনও তুলেছিলেন মরোক্কান ফুটবলাররা। তবে রেফারি ক্রোয়েশিয়া বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক দেন।