আগরতলা: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে যখন বাংলার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে চলেছে বিজেপি, তখন গেরুয়া ত্রিপুরাতেই (Tripura) টাকার বিনিমিয়ে অবাধে চলছে সীমান্ত পারাপার। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের এই সীমান্তরাজ্য। কাঁটাতারের বেড়ার পরোয়া না করেই বিএসএফের মদতে বিজেপির ত্রিপুরায় রমরমিয়ে চলছে অনুপ্রবেশরাজ। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ, দালালদের হাতে ২০০০ টাকা ধরিয়ে দিলেই বাধাহীন অনুপ্রবেশ। শনিবার রাত থেকেই অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তথ্যের দাবি, অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের এপারে আনার ব্যাপারে দালালচক্র সবচেয়ে সক্রিয় খোয়াই মহকুমায়। আশারাম বাড়ি বিধানসভা এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের স্রোত রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। গত ৩ মাসে বিএসএফের ৭০ ব্যাটালিয়নের সামনেই কাতারে কাতারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে অভিযোগ। বাচাইবাড়ি থেকে চামুবস্তি, গোপালনগর, বিদ্যাবিল সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় দালালচক্র। টাকার বিনিময়ে শুধু সীমান্ত পারাপারই নয়, রীতিমতো গাড়িতে চাপিয়ে ওই বাংলাদেশিদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খোয়াই শহরে। প্রশ্ন উঠেছে, কী করছে বিএসএফ? তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখাও কি কোনও খবরই রাখে না? নাকি সব দেখেও না দেখার ভান করছে তারা? স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে করঙ্গী ছড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ১১ জন বাংলাদেশি। তাদের কাছে ২০০০ টাকা করে আদায় করে গ্রামেরই এক যুবক। তারপরে দুটি অটোরিকশায় চাপিয়ে তাদের খোয়াই শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু সোমবেড়িয়া বাজারে অটোদুটি আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তারা আসলে বাংলাদেশি। তারপরেই গণধোলাই শুরু হয় ২ অটোচালককে। পুলিশ ছুটে এলেও হিমশিম খেয়ে যায় উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে। পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় মানুষ। জনরোষের চাপে পড়ে পুলিশ ১১ জনকেই ধরে নিয়ে যায়।

