সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পা রাখার আগেই ত্রিপুরার বিপ্লব দেব প্রশাসনকে ১০ গোল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে মুখ পুড়েছে বিজেপির। পূর্ব নির্ধারিত স্থানে আগরতলায় রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন এলাকায় জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কোর্টের শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মেনে হল সভা। আর সেই সভা ঘিরে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোর্টের নির্দেশমতো ৫০০ শ্রোতা-দর্শকের আসনের ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল। প্রায় ১০ হাজার মানুষের আমন্ত্রণ থাকলেও আদালতের শর্ত মেনেই বাকি সবাইকে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনও ঘাটতি ছিল না।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরাকে বিজেপির অপশাসন মুক্ত করার ডাক, আবেগে, উন্মাদনায় নতুন ত্রিপুরা গড়ার শপথ
রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ বিমানবন্দরে আসতেই অভিষেককে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও আগরতলাবাসী। রবীন্দ্র ভবনের সামনে অভিষেকের বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। কোভিডবিধি মেনে এদিন সভা হয়। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব কর্মী-সমর্থক সভায় আসতে চেয়েছিলেন, তাঁরা দূর থেকেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতার বক্তব্য শুনেছেন। কোথাও গাছের তলায়, কোথাও নিচে দাঁড়িয়ে দূর থেকেই নেতাদের বার্তা পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের কাছে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে ২০ লক্ষ মানুষ শুনেছেন অভিষেকের বক্তৃতা। আদালতে মুখ পুড়লেও রাজ্যের বিজেপি সরকারের চক্রান্তে এদিনও হেনস্থা করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যায় পুলিশ। তবে জন-আবেগের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় ত্রিপুরার পুলিশ-প্রশাসনকে। জ্বালাময়ী ভাষণে গোটা ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীদের উজ্জীবিত করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ‘বদলা নয়, বদল চাই’ আওয়াজে ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ডাক দেন তিনি। জনতা তখন ‘জয় ত্রিপুরা’ স্লোগানে উত্তাল।